বাচিক শিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
পার্ক স্ট্রিটের অভিজাত এক রেস্তোরাঁয় গাড়ির চালককে সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল এক মহিলাকে। কেন জানতে চাওয়ায়, ওই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ চালকের ‘নোংরা পোশাক’কেই কারণ হিসাবে তুলে ধরেছিল। ওই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। ফের একই রকম ঘটনার সাক্ষী হল পার্ক স্ট্রিট। এ বারও অভিযোগের তির এক অভিজাত রোস্তোরাঁর দিকেই।
ঘটনাটি ঠিক কী?
আরও পড়ুন, সঙ্গীর পোশাক নোংরা বলে মহিলাকে ঢুকতেই দিল না পার্ক স্ট্রিটের মোকাম্বো
অভিনেত্রী বন্ধু সুদীপা বসুকে নিয়ে রবিবার পার্ক স্ট্রিটের একটি নামী রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজন করতে গিয়েছিলেন বাচিক শিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। চেনা পোশাকের বাইরে অন্য ধরনের ফ্যাশন স্টেটমেন্টেই তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত দর্শক। সে দিনও পরনে ছিল অন্য ধরনের পোশাক। সে কারণেই নাকি তাঁদের রেস্তোরাঁয় ঢুকতে বাধা দেন গেটম্যান। সুজয়ের দাবি, ‘‘গেটম্যান আমাকে বলেন, আপনি লুঙ্গি পরে এসেছেন। আপনাকে ভিতরে ঢুকতে দেব কি না সেটা তো ভাবতে হবে! ম্যানেজারকে ডাকতে দিন। পরে ম্যানেজার এসে বলেন, ও! এটা তো লুঙ্গি নয়। আপনি ভিতরে আসুন। কিন্তু, গেটম্যানের ব্যবহারে দুঃখপ্রকাশ না করে, এমন মন্তব্য করে ম্যানেজার আমাকে আরও বেশি অপমান করেছেন। এটা শুধু নিন্দনীয়ই নয়। অসভ্য একটা ঘটনা। কোনও সভ্য দেশে এটা হতে পারে না।’’
বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন সুজয়। নিজের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘...আমি আর অভিনেত্রী সুদীপা বসু রাসেল স্ট্রিটের ওয়ালডর্ফ রেস্তোরাঁয় লাঞ্চ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, গেটম্যান আমাকে আটকে দেন।...পরে ম্যানেজারকে ডেকে আনলে তিনি ক্ষমা চাননি। উল্টে বলেন, গেটম্যান বলল আপনি লুঙ্গি পরে এসেছেন। তাই চেক করতে হল। এটাই ২০১৭-র কলকাতা। আমাদের কি এই রেস্তোরাঁটি বয়কট করা উচিত নয়?...’
কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল? ওয়ালডর্ফের ডিরেক্টর ম্যানটোজ বলেন, ‘‘আমাদের এখানে কোনও ড্রেস কোড নেই। তবুও গেটম্যান কেন এমন অশিক্ষিতের মতো ব্যবহার করলেন, আমি জানি না। আপাতত ওঁকে এক দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে, ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছে ম্যানেজার তা বুঝতেই পারেননি। যা হয়েছে, সেটা ঠিক নয়।’’ তাঁর আরও দাবি, সুজয়ের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও নম্বর তাঁর কাছে নেই। থাকলে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিতেন।
অন্য দিকে সুজয়ের দাবি, রবিবার সন্ধ্যাবেলা তাঁকে নাকি ওই রেস্তোরাঁর অন্যতম এক মালিক ফোন করেছিলেন। সুজয়ের কথায়, ‘‘তিনি ফোন করে বলেন, আপনি এক দিন খেতে আসুন। কিন্তু, একবারও এটা বলার প্রয়োজন মনে করলেন না, এটা একটা অসভ্য ঘটনা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy