পেশাদার সাঁতারুদের সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার অনুমতি আগেই দিয়েছিল কেন্দ্র। গত মাসে সর্বসাধারণের জন্য সুইমিং পুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো সাঁতার প্রশিক্ষণ ক্লাবগুলি প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। তবে সেই সব ক্লাবের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সুইমিং পুল খুলে গেলেও কোভিড পরিস্থিতিতে সাঁতার শিখতে আসতে চাইছেন না অনেকেই। ফলে অন্য বার যেখানে এত দিনে প্রতিটি ক্লাবেই ভর্তি প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে যায়, সেখানে এ বার নতুন সদস্য সংখ্যা হাতে গোনা।
ক্লাবকর্তাদের মতে, কোভিড-ভীতির কারণেই এ বছর সাঁতার প্রশিক্ষণে নতুন মুখের দেখা সে ভাবে মিলছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলই খোলেনি, সেখানে ছেলেমেয়েদের সাঁতার শিখতে পাঠানো কতটা নিরাপদ হবে— সেটাও ভাবাচ্ছে বহু অভিভাবককে। তাই সাঁতার শিখতে পাঠানোতেও অনীহা রয়েছে তাঁদের।
কলেজ স্কোয়ারে সাঁতার প্রশিক্ষণের একাধিক ক্লাব রয়েছে। পয়লা বৈশাখ নাগাদ ওই সব ক্লাবের বেশির ভাগ খুলে যায়। ওই ক্লাবগুলির কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, গত মাসে সুইমিং পুল খোলার নির্দেশ আসার পরেই কলেজ স্কোয়ারের পুরনো জল ফেলে নতুন জল ভরার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকি ক্লাবের ভিতরের ইন্ডোর সুইমিং পুলের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। কিন্তু এত আয়োজনই সার, এখনও পর্যন্ত নতুন মুখের দেখা নেই। কলেজ স্কোয়ারের একটি ক্লাবের কর্মকর্তা সন্তোষ দাস বলেন, ‘‘পুরনো সদস্য যাঁরা আছেন, তাঁদের অনেকে সদস্যপদ নবীকরণ করালেও নতুনদের দেখা নেই। আমাদের ক্লাবে ৪০০ থেকে ৫০০ জন পুরনো সদস্য আছেন। আর প্রতি বছর সাঁতার শিখতে ১৪০০ থেকে ১৫০০ জনের মতো ভর্তি হয়। অথচ এ বছর এখনও নতুন কেউ আসেনি বললেই চলে।’’ তিনি আরও জানান, আগামী ১৭ মার্চ থেকে ইন্ডোর সুইমিং পুল খুলে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেখানেও প্রশিক্ষণ নিতে নতুন শিক্ষার্থী প্রায় ভর্তি হচ্ছে না বললেই চলে।