প্রতীকী ছবি।
ক্লাসরুমকে ‘স্মার্ট’ করতে চায় স্কুলশিক্ষা দফতর। কিন্তু যথাযথ পরিকাঠামো না থাকায় এবং বহু শিক্ষক প্রযুক্তির ব্যবহার না জানার কারণে এই উদ্যোগ যে পুরোপুরি সফল না-ও হতে পারে, সেই আশঙ্কা রয়েছে খোদ দফতরেই। তাই সবার আগে স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করছে দফতর। কলকাতা থেকে এই উদ্যোগ শুরু হচ্ছে।
বিকাশ ভবনের এক কর্তা জানান, চক, ডাস্টার ও ব্ল্যাকবোর্ডের ব্যবহার তুলে দিয়ে প্রযুক্তির সাহায্যে ক্লাসরুমগুলিকে সাজাতে চাইছে সরকার। কিন্তু কম্পিউটারে বিভিন্ন তথ্য রেখে দেওয়া, প্রোজেক্টরের মাধ্যমে পড়ুয়াদের কাছে সেগুলি তুলে ধরার ক্ষেত্রে দক্ষতায় খামতি রয়ে গিয়েছে শিক্ষকদের। বিশেষ করে গ্রামের দিকে এই চিত্র আরও ভয়াবহ। কলকাতাতেও যে অবস্থা খুব একটা সুখকর নয়, সে কথা মানছেন দফতরের কর্তারাই। সে কারণে কলকাতার ২০টি স্কুলের ক্লাসরুমগুলিকে ‘স্মার্ট’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কী ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে শিক্ষকদের? স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, স্মার্ট ফোন ব্যবহার করায় অনেকেই সড়গড় নয়। কী ভাবে স্মার্ট ফোনে তথ্য জমা করতে হয়, সেটাই অনেকে জানেন না। হাতে ধরে প্রথমে সেগুলি সেখানো হবে। তার পরে হোয়াটস্অ্যাপ বা শেয়ার ইট অ্যাপের মাধ্যমে পড়ুয়াদের কাছে তা বিভিন্ন তথ্য পাঠাতে হয় কী ভাবে, তা শেখানো হবে। প্রোজেক্টর ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে তাঁদের।
ওই কর্তা জানান, কোনও বিষয়ে পড়ানোর সময়ে যদি শিক্ষকেরা প্রযুক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে পড়েন, সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের কাছে ওই শিক্ষকের গ্রহণযোগ্যতার খামতি থাকতে পারে। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে শেষে ক্লাসরুমের ভারসাম্যই নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রশিক্ষণ দেওয়ার এই উদ্যোগ। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘উদ্যোগটি খুবই ভাল। কিন্তু পঠনপাঠন বজায় রেখে যেন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।’’ তবে গ্রামের দিকে এই উদ্যোগ কবে শুরু হবে, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। দফতরের এক কর্তা জানান, শহর থেকে ধাপে ধাপে গ্রামেও প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy