কলকাতা নাকি দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ! অথচ সেই ‘নিরাপদ’ শহরেই সাতসকালে এক ১২ বছরের কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পরে খুন করে খালে ফেলে দেওয়া হল! সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই ঘটনায় অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব সংস্থা ‘ওলা’র এক চালক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবারই ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)দেশের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্যপঞ্জি প্রকাশ করেছে। সেখানে চেন্নাইয়ের পাশাপাশি দেশের নিরাপদ শহরগুলির মধ্যে শীর্ষে রাখা হয়েছে কলকাতাকেও। অথচ সেই শহরেরই ফুটপাথ থেকে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যা করা হয়েছে, তাতে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল ফের।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ব্রেবোন রোডের ফুটপাথে মা, মামা এবং মাসতুতো এক দাদার পাশে শুয়ে ছিল ওই কিশোরী। ভোর তিনটে নাগাদ হঠাত্ই ঘুম ভেঙে যায় তার মামার। তখন তিনি দেখেন, তাঁর পাশ থেকে ভাগ্নিকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এক যুবক। মুহূর্তের মধ্যেই তাকে একটি সাদা গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। এর পর গাড়িটি ধর্মতলার দিকে ভীষণ জোরে চালিয়ে দেয় ওই যুবক। সবটা এত দ্রুত ঘটে যে, মামা চিত্কার করে লোকজন ডাকার আগেই গাড়িটি চোখের বাইরে চলে যায়।
এর পর তাঁরা হেয়ার স্ট্রিট থানায় যোগাযোগ করেন। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটি চিহ্নিত করে। জানা যায় গাড়িটি ‘ওলা’ সংস্থার। সেই সংস্থায় যোগাযোগ করে গাড়ির মালিকের নম্বর জোগাড় করে পুলিশ। সেখান থেকেই মেলে তার চালকের সন্ধান। এর পর খিদিরপুর এলাকা থেকে ওই গাড়ির চালক গুড্ডু সিংহ এবং তার বন্ধু শঙ্কর সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই গাড়িতে করেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিশোরীকে।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী জেরায় ওই দু’জন জানিয়েছে, বুধবার ব্রেবন রোড থেকে ওই কিশোরীকে ‘ওলা’য় তুলে নিয়ে যায় তারা। এর পর তাকে নিয়ে বন্দর এলাকার ওয়াটগঞ্জে পৌঁছয় তারা। কিশোরীকে গাড়ির মধ্যে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়। এর পরে ফের গাড়ি ঘুরিয়ে তারা চলে আসে পার্ক সার্কাস এলাকায়। পার্ক সার্কাস ফ্লাইওভারের উপর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গুড্ডুরা। তার পর কিশোরীর নিথর দেহ আম্বেদকর সেতুর তলায় তপসিয়া খালে ফেলে দেয় তারা।
এর পরে দেহ উদ্ধার করতে তপসিয়া খালে ডুবুরি নামানো হয়। উদ্ধার হয় ওই কিশোরীর দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মদ্যপ অবস্থাতেই এই কাজ করেছে ওই দুই যুবক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy