Advertisement
E-Paper

আগুনে ছাই পাপোশের গুদাম ও কারখানা

আগুন লাগল একটি পাপোশ তৈরির কারখানা ও তার গুদামে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চারু মার্কেট থানা এলাকার সুলতান আলম রোডে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৬ ০১:৩৫
চলছে মোকাবিলা। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

চলছে মোকাবিলা। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

আগুন লাগল একটি পাপোশ তৈরির কারখানা ও তার গুদামে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চারু মার্কেট থানা এলাকার সুলতান আলম রোডে। দমকল সূত্রে খবর, তাদের ১৫টি ইঞ্জিন ২ ঘণ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। তবে ততক্ষণে পুড়ে ছাই কারখানা ও গুদাম। এই ঘটনায় অবশ্য কেউ আহত হননি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এ দিকে, এ দিনই বিকেল সওয়া পাঁচটা নাগাদ উত্তর কলকাতার চিৎপুরের ৮ নম্বর দিলওয়ার জং রোডে একটি বোতাম তৈরির কারখানাতেও আগুন লাগে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন খুব তাড়াতাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল সূত্রে খবর, শর্ট সার্কিটের জেরেই এই আগুন।

চিৎপুরে চটজলদি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও চারু মার্কেট এলাকার পাপোশ কারখানার আগুন এ দিন ভয়াবহ চেহারা নেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গুদাম ও কারখানাটি একটি সরু গলির মধ্যে। দু’পাশে সার দিয়ে বহুতল। সরু ওই গলিতে প্রথমে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন দমকলের অফিসারেরা। তার উপরে এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়েও সমস্যায় পড়েন দমকল কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমেই আশপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। তার পরে শুরু করেন আগুন নেভানোর কাজ। বিপদ এড়াতে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু সিংহ জানান, অন্য দিনের মতোই এ দিন বিকেলে কারখানায় কাজ করছিলেন কর্মীরা। হঠাৎ ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার করে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন কারখানা সংলগ্ন গুদামে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। এমন দমবন্ধ করা গন্ধে বাতাস ভরে যায় যে নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল বলে জানান বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন দমকলে। তবে আগুন অবশ্য খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে কারখানাতেও। তাড়াতাড়ি এসে দমকল কাজ শুরু করায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। আগুনের খবরে এ দিন ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

তবে এ রকম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেন এমন কারখানা থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

তাঁরা জানান, এই কারখানায় সামান্য অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও নেই। আগুন লাগার পরে কর্মীরা শুধুই অসহায়ের মতো চিৎকার করছিলেন। কারখানাটিতে একাধিক দাহ্য পদার্থ মজুত থাকা সত্ত্বেও কেন পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না, সে প্রশ্ন তুলেছেন দমকল অফিসারেরাও। ফলে কী ভাবে আগুন লাগল তা তদন্ত করার পাশাপাশি যে গুদামে আগুন লেগেছে, তার বৈধতাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান এক দমকল কর্তা।

Godown Carpet Fire Fire-brigate
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy