নীলাঞ্জনা শর্মা এবং যিশু সেনগুপ্তের সম্পর্ক ঘিরে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। যদিও নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে কখনও কোনও মন্তব্য করেননি তাঁরা। এক বছরে নীলাঞ্জনার জীবনে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। সম্প্রতি ‘সিঙ্গল’ মা হিসাবে নিজের যাত্রার কথা বললেন নীলাঞ্জনা।
তাঁর দুই মেয়ে, সারা এবং জ়ারা। বড় মেয়ে মডেলিং জগতের সঙ্গে যুক্ত। ছোট মেয়ে এখনও স্কুলে পড়ে। সারা মুম্বইয়ে থাকে। দুই মেয়েকে নিয়ে নীলাঞ্জনার যাত্রা খুব মসৃণ নয়, তবে এই এক বছরে কর্মক্ষেত্র থেকে ব্যক্তিগত জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে তাঁর। তিনি বললেন, “এখন অনেক ভাল পরিস্থিতিতে আছি আমি। এক বছর আগেও পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু তার পরে ‘নিন্নি চিন্নিজ় মাম্মা প্রোডাকশন’ তৈরি করার পরে দিশা পেয়েছি। তখন মুম্বইয়ে সারাকেও থিতু করার ব্যাপার ছিল। খুব ব্যস্ততা গিয়েছে। জ়ারার ‘মিড্ল স্কুল’ শুরু হচ্ছিল। বাবা তখন অসুস্থ। সব মিলিয়ে সময়ই ছিল না। এত কাজ থাকলে, তখন বাড়িতে বসে কান্নাকাটি করার সময় থাকে না।”
আরও পড়ুন:
তবে ৫০ বছরের জন্মদিনে মহাকুম্ভে যাওয়া তাঁর জীবনের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত বলে মনে করেন নীলাঞ্জনা। “কাশী বিশ্বনাথ, কালভৈরব, হনুমানজির দর্শন মনে শান্তি দিয়েছে”, বলছেন তিনি। নীলাঞ্জনা বরাবরই আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী। আধ্যাত্মিকতা ত্যাগ, ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলে। এ ক্ষেত্রে তিনি যোগ করেন, “আমি ক্ষমা করার কে?” নীলাঞ্জনার আরও উপলব্ধি, “রাগ পুষে না রাখাই কাম্য। জীবন শেষ হয়ে যায়নি। প্রত্যেকের জীবনেই অনেক কিছু ঘটে। কিন্তু আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমার জীবনে যা আছে, তাতেই খুব খুশি। আমার কারও প্রতি কোনও রাগ নেই, কোনও আফসোস নেই।”
দুই মেয়েকে নিয়ে একটি ‘ফ্যামিলি গ্রুপ’ আছে তাঁর। সেখানেই সারা ক্ষণ তাঁরা কথাবার্তা বলেন। তিন জনেই যেহেতু নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকেন, ফলে সেই গ্রুপে নিজেদের খবরাখবরও আদান-প্রদান চলে। ‘সিঙ্গল’ মা হিসাবে যাত্রাটা কি কঠিন ছিল? নীলাঞ্জনার উত্তর, “এখনও কঠিনই। আমার মনে হয় মাতৃত্ব বিষয়টাই কঠিন। মা বলতেন, ‘মা হলে বুঝবি’। সেটা আমি এখন বুঝতে পারছি। সব মাকেই কুর্নিশ। এই যাত্রাটা কঠিন ছিল। কোনও দিন হয়তো খুব ভাল যায়। আবার কোনও কোনও দিন সমস্যাও তৈরি হয়।” তবে দুই মেয়েকে নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততায় কাটে তাঁর। বড় মেয়েকে কাজের সূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটতে হয়। ছোট মেয়ের কাছে খবর থাকে মা নীলাঞ্জনা কখন, কোথায় মিটিংয়ে যাচ্ছেন। সারা, জ়ারাকে নিয়ে নিজের জীবন নতুন ভাবে সাজিয়েছেন নীলাঞ্জনা।