আগুন লাগার পরেই পড়িমড়ি করে দৌড়ে নীচে নেমে এসেছিলেন ছ’তলা বাগড়ি মার্কেটের ছাদে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু তখন খাঁচায় বন্দি ছিল ছোট্ট একটি ময়না। নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর সময়ে খাঁচায় বন্দি পাখিটিকে ওঁরা ভোলেননি। নীচে নামার আগে খাঁচার দরজা খুলে দিয়েছিলেন। ছাদের ওই অংশ কালো ধোঁয়ায় ভরে গেলেও তখনও খাঁচার কাছে আগুন পৌঁছয়নি। তাই নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে পাখিটি।
রাস্তায় অসুস্থ হয়ে কেউ পড়ে থাকলেও অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেন। শহর কলকাতার এই অমানবিক মুখ অজানা নয়। তবে মানবিক মুখও যে হারিয়ে যায়নি, শনিবার রাতের এই ঘটনায় তারই প্রমাণ পাওয়া গেল। এক ব্যবসায়ী অশোক কুণ্ডু বলেন, ‘‘আমাদের সব কিছু গেলেও পাখিটি যে বেঁচে গিয়েছে, এটাই স্বস্তির।’’
ওই পাখিটির মতো আস্তানা হারিয়েছে বাগড়ি মার্কেটের পায়রারাও। ওই মার্কেটের বিভিন্ন খুপরিতে থাকা পায়রাদের বাসাগুলি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে কয়েকটি পায়রারও। সারাদিন ডানা ঝাপটে মার্কেটের আশপাশে উড়ে বেরিয়েছে গৃহহীন পায়রার দল। এক স্থানীয় দোকানদার জানান, পায়রাগুলির স্থায়ী আস্তানা ছিল ওই মার্কেট। দোকান মালিকেরাই পায়রাগুলিকে খেতে দিতেন।
আরও পড়ুন: মোবাইলের আলোয় ছাই-স্তূপে সর্বস্ব খোঁজার চেষ্টা
শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগে। সেখানে সাড়ে ন’শো দোকান ও অফিস ছিল। যার মধ্যে প্রায় দু’শোটি পুড়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে বহু মানুষ কার্যত সব হারিয়েছেন।