প্রতীকী ছবি।
খাতায় কলমে সে অ্যাপ ক্যাবের চালক। আবার দাগি গাড়ি-চোর হিসেবে পটনা এবং কলকাতায় শ্রীঘর বাসের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। অভিনব কৌশলে গাড়ি চুরির অভিযোগে ফের তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃত বীরচাঁদ পটেল ওরফে রাজুর বাড়ি বিহারের বৈশালীর ধারা গ্রামে। সোমবার স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে সেখান থেকেই তাকে ধরে লেক থানার বিশেষ দল। উদ্ধার হয়েছে দু’টি চোরাই গাড়ি। ধৃতকে মঙ্গলবার হাজিপুর আদালতে তোলা হয়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গাড়ি চুরির অভিযোগে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে ২০১০ সালে প্রথম ধরা পড়ে রাজু। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে সে পটনায় ফিরে যায়। কিন্তু সেখানেও একই অভিযোগে তাকে পাকড়াও করে স্থানীয় পুলিশ। হাজতবাস করে বছরখানেক আগে কলকাতা ফিরে আসে রাজু। এবং একটি অ্যাপ ক্যাবের চালক হিসেবে কাজ শুরু করে।
পুলিশের দাবি, অ্যাপ ক্যাবের চালক হিসেবে কাজ শুরু করলেও কিছু দিনের মধ্যেই রাজু ফিরে আসে পুরনো পেশায়। ক্যাবে যাত্রী তোলার অছিলায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দাঁড় করানো পুরনো চার চাকা গাড়িকে প্রথমে চিহ্নিত করত সে। তদন্তকারীদের দাবি, ভোরে এক সঙ্গীকে নিয়ে রাজু পৌঁছে যেত ‘টার্গেট’ গাড়ির কাছে। সঙ্গীকে ক্যাবের স্টিয়ারিংয়ে বসিয়ে নিজে ওই গাড়ির লক ভেঙে বিহারের দিকে রওনা দিত। পিছনে আসত অ্যাপ ক্যাবটি। তবে তা হাওড়ার পরে আর যেত না।
কী ভাবে রাজুর খোঁজ পেল পুলিশ? লালবাজার সূত্রের খবর, জুন মাসে লেক থানা এলাকা থেকে পর পর দু’টি গাড়ি চুরির অভিযোগ আসে। এর পরেই ওসি প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দুই অফিসার অতনু মজুমদার এবং অভিষেক রায়কে নিয়ে পাঁচ জনের দল তৈরি হয়। তাঁরা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানতে পারেন, প্রতিটি চুরি করা গাড়ির পিছনেই থাকছে একটি অ্যাপ ক্যাব। সেটির নম্বর ধরে খোঁজ করতেই রাজুর সন্ধান পাওয়া যায়। তদন্তকারীরা জানান, প্রতিটি ঘটনার পরেই রাজুর মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখা যাচ্ছিল বিহারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy