জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়টি আসলে গৌণ। দেশের অভিভাবকপ্রতিম, বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক কারণেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ লাগাতার নিগ্রহ করে চলেছেন বলে এ বার সংগঠিত প্রতিবাদের ডাক দিল নাগরিক সমাজের একাংশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নন্দনে ‘সামাজিক মর্যাদা রক্ষা সমিতি’ বলে একটি মঞ্চের প্রতিবাদ-সভায় সৌরীন ভট্টাচার্য, অমিয় দেব, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, পার্থ মজুমদার, গৌতম হালদার, উমা দাশগুপ্ত, অনিল আচার্য, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, দেবশঙ্কর হালদারের মতো সারস্বত সমাজ ও সংস্কৃতি জগতের ব্যক্তিত্বেরা তাঁদের ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন। বিকাশ সিংহের বক্তব্য পড়া হয়।
মঞ্চের তরফে বিবৃতিটি পড়েন অর্থনীতিবিদ অচিন চক্রবর্তী। তাতে বলা হয়েছে, আইনগত বিতর্ক আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পন্ন হওয়াই বিধেয়। তা এই চূড়ান্ত অশোভন আচরণের যুক্তি হতে পারে না। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ও বঙ্গসমাজের এই অসম্মানের জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এমন আচরণ থেকে বিরত হয়ে অধ্যাপক সেনের কাছে ক্ষমা চান, এমন দাবিও রাখা হয়েছে। মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক, সাহিত্যিক অনিতা অগ্নিহোত্রীর আর্জি, ‘‘কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেধা চর্চার বদলে বিশিষ্ট মানুষকে আক্রমণে ইন্ধন জোগাচ্ছে, সেটাকে আমরা যেন ক্ষমাশীলতার চোখে না দেখি।’’
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অমর্ত্য সেনের ধারাবাহিক অবস্থান মনে করিয়ে তাঁকে হেনস্থার প্রকৃত কারণ খোঁজেন সৌরীন। অমিয়ের মতে, অমর্ত্যকে এই নিগ্রহ দেশের সার্বিক সঙ্কটেরই প্রতিফলন। গৌতম হালদার এর মধ্যে বাঙালির সাংস্কৃতিক গরিমায় আঘাত দেখছেন। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, কুমার রানা প্রমুখও এই প্রতিবাদী মঞ্চে আছেন। শান্তিনিকেতনে ৫ মে পরবর্তী অনুষ্ঠানের ডাক দেন আহ্বায়কেরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)