পূর্ব কলকাতা জলাভূমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ফের হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিংহের প্রশ্ন, ‘‘কবে কলকাতার জলাভূমি ফের দেখা যাবে, শহরবাসী ও আদালত এই তথ্য জানতে চায়।’’ দখলমুক্ত করে কবে জলাভূমি পুনরুদ্ধার করা যাবে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়সীমাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, আদালত বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করে পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেও রাজ্য তা পালন করেনি। এ দিন বিচারপতি বলেন, ‘‘এ ভাবে কাজ চলতে পারে না। ৫৫০টি বেআইনি নির্মাণ আছে। তার মধ্যে মাত্র দু’টি চিহ্নিত হয়েছে। প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করলে কড়া নির্দেশ দিতে বাধ্য হবে আদালত। পরবর্তী কালে জল ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’’
এ দিন রাজ্য রিপোর্ট দিয়ে জানায়, ১০টি বেআইনি নির্মাণ-সহ অস্থায়ী দোকান ভাঙা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘‘কয়েকটি অস্থায়ী ছোট দোকান ভেঙে বলছেন, বেআইনি নির্মাণ ভেঙেছেন। বেসরকারি স্কুল, শপিং মল, গাড়ি মেরামতির কারখানা, বড় আবাসন— সেগুলির ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করেছেন? বড় বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে প্রশাসনকে। আমি দেখতে চাই, অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নোটিস পাঠিয়েছেন।’’ এ দিন চিহ্নিত বেআইনি সম্পত্তির মালিকদের নোটিস দেওয়ার দাবি জানান মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। তাঁরঅভিযোগ, বৈধ নথিপত্র থাকলেও মামলাকারীর নির্মাণ ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।
১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মামলার শুনানি মুলতবি করে বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিতকরণ ও ভাঙার ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে প্রশাসনকে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)