Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
tree

Bidhannagar: গাছের হাল জানতে দল গড়ার ভাবনা বিধাননগরে

পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতার মতো বিধাননগরে কখনও গাছ-গণনা হয়নি। তাই সল্টলেক এবং রাজারহাটে কোথায় কত গাছ শুকিয়ে গিয়েছে, মরে গিয়েছে বা অন্য কোনও কারণবশত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, এক নজরে তার কোনও তথ্য নেই পুর প্রশাসনের কাছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়
বিধাননগর শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২ ০৮:৪৯
Share: Save:

বালিমিশ্রিত মাটিতে গভীর শিকড়ের বড় গাছ আর নয়। তার বদলে সল্টলেকে বসানো হবে ছোট আকারের বিভিন্ন রকম ফলের গাছ। যাতে ঝড়ঝঞ্ঝায় আচমকা বিরাট গাছ ভেঙে বিপদের আশঙ্কা না থাকে।
কয়েক দিন আগে খাস কলকাতার বুকে, যোধপুর পার্কে আচমকাই একটি বড় গাছ ভেঙে পড়েছিল চলন্ত স্কুটারের উপরে। আহত হয়েছিলেন ওই স্কুটারচালক-সহ মোট তিন জন। অতীতে ময়দানে মাথায় গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। বিধাননগর পুর এলাকার সল্টলেকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সময়ে একটি বড় গাছ একটি ক্যাবের উপরে ভেঙে পড়ায় দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির মধ্যেই আটকে ছিলেন চালক। এক বার সল্টলেকের বিডি ব্লকে প্রকাণ্ড এক ইউক্যালিপটাস গাছ ভেঙে পড়ে একটি দোতলা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
সম্প্রতি বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী গাড়ি করে সল্টলেকের এক জায়গায় যাচ্ছিলেন। তাঁর চোখের সামনেই একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে এক তরুণ-তরুণীর উপরে। গত সোমবার সল্টলেকের এবি ব্লকে আবার দেখা গিয়েছে, একটি বন্ধ বাড়ির পাঁচিলের উপর দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে প্রকাণ্ড একটি গাছ।
কৃষ্ণা জানান, সল্টলেকের কোথায়, কোন গাছ, কী অবস্থায় আছে, তা পুরসভার নজরে
আনতে যাতে পরিবেশ বিভাগ একটি পৃথক দল তৈরি করে, সে বিষয়ে তিনি পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদকে বলবেন। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, বিধাননগরে, বিশেষত সল্টলেক এলাকায় গভীর শিকড়ের বড় গাছ রোপণ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমপানের পরেই।
কিন্তু যে সব বিরাট বিরাট গাছ বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে, সেগুলির কী হবে?
সদ্য তৈরি হওয়া বিধাননগর পুরবোর্ডের পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ রহিমা বিবি মণ্ডল জানান, তাঁরা এই সমস্যা
সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। রহিমার কথায়, ‘‘বহু গাছ রয়েছে, যেগুলি ইতিমধ্যেই শুকিয়ে গিয়েছে বা মরে গিয়েছে। পুরবোর্ড এবং বন দফতরের অনুমতি নিয়ে সেই সব গাছ কেটে সেখানে ছোট গাছ বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতার মতো বিধাননগরে কখনও গাছ-গণনা হয়নি। তাই সল্টলেক এবং রাজারহাটে কোথায় কত গাছ শুকিয়ে গিয়েছে, মরে গিয়েছে বা অন্য কোনও কারণবশত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, এক নজরে তার কোনও তথ্য নেই পুর প্রশাসনের কাছে। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘এ ক্ষেত্রে এলাকার মানুষের খবরের উপরেই নির্ভর করতে হয়। কোথাও কোনও গাছ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বলে খবর এলে আমাদের আধিকারিকেরা সেখানে গিয়ে দেখেন গাছটি কেটে ফেলার প্রয়োজন আছে কি না।’’
তবে মেয়র এবং মেয়র পারিষদ দু’জনেরই দাবি, গাছের পরিচর্যা কিংবা গাছ ছাঁটার মতো কাজ নিয়মিত হয়। রহিমা জানালেন, বিধাননগরে গাছের হাল-হকিকত নজরে রাখতে একটি বিশেষ দল গড়ার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। প্রয়োজন মতো কোথাও কোথাও গাছতলা বাঁধিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tree
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE