রাস্তা নয়, যেন নদী। নিজস্ব চিত্র।
বর্ষার মধ্যে রাস্তার মেরামতি করে কোনও লাভ হয় না। উপরন্তু আর্থিক ক্ষতি হয়। এ কথা মেনে নিচ্ছেন বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ। এ বার তাই বর্ষার শেষেই রাস্তা সারাইয়ে হাত দেবে বলে জানিয়েছে পুরসভা। ফলে বিস্তীর্ণ পুর এলাকার গর্ত ভর্তি ছোট-বড় রাস্তা দিয়েই বর্ষার মধ্যে চলবে ঝুঁকির যাত্রা।
বিধাননগর, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, কৈখালি-সহ পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই ছোট-বড় রাস্তার বেহাল অবস্থা। অভিযোগ, সারাইয়ের পরেও জল এবং বিদ্যুতের কাজে অনেক রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। বর্ষা শুরু হতেই সেই সব রাস্তার গর্ত জলে ভরে বিপদ বাড়াচ্ছে পথচারী এবং গাড়িচালকের। অভিযোগ, পাশাপাশি দীর্ঘ দিন কয়েকটি রাস্তার সংস্কারও হয়নি। তাই বর্ষার শুরুতেই এই বেহাল দশা।
পুরসভা সূত্রের খবর, আগে বর্ষার শুরুতে রাস্তা সারাই হতো। বর্ষা শেষ হতেই তাই ফের ভেঙেচুরে যেত সেই রাস্তা। ফলে একই কাজের জন্য অনেক সময়ে দু’বার করে টাকা খরচ করা হতো। এত দিন এই প্রথাই চলে আসছিল। তাই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত, এ বার রাস্তা সংস্কার হবে শীতেই। বিধাননগর পুরসভার দাবি, নতুন বোর্ড আসার পরে প্রায় ৭২ কোটি টাকা খরচ করে তিন বছরের চুক্তিতে বিধাননগর পুর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা মেরামত হয়েছে। চুক্তির মেয়াদ পেরনোর আগে সেগুলি খারাপ হলে তার দায় ঠিকাদারের। এ ছাড়াও বেহাল অবস্থায় রয়েছে পুর এলাকার অলি-গলির বিভিন্ন রাস্তা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করলে বারবার রাস্তা সারাই করে টাকা নষ্ট হয় না। বাসিন্দাদেরও দুর্ভোগে পড়তে হয় না।
বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে বর্ষায় রাস্তা মেরামত করে কোনও লাভ হয় না। উপরন্তু অর্থের অপচয় হয়। তাই বর্ষার পরে রাস্তা সারাইয়ে হাত দেবে পুরসভা।’’
এ বারে তো বর্ষার মরসুমের মধ্যেই পুজো হবে। সে ক্ষেত্রে কী হবে? বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জরুরি ভিত্তিতে রাস্তায় তাপ্পি দেওয়া যায় কি না তার চিন্তাভাবনা চলছে।’’ তিনি জানান, পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের পাইপলাইন পাতা হচ্ছে। তাই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হচ্ছে। সবটা মিলে তাই একটু সমস্যা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy