প্রথম বার যখন সদ্যোজাত মেয়ে মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন, তার দিন কয়েকের মধ্যে ঝর্নার বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ এসেছিল। দ্বিতীয় বার ‘পেটে জল জমেছে’ জানিয়ে যখন ‘জল বার করতে’ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তার পরে তাঁদের বাড়িতে নতুন বাইক ঢুকেছিল। এ ভাবেই এক-এক বার এক-একটি ‘শখ পূরণ’ করেছেন দাস দম্পতি। এর বেশির ভাগটাই সন্তান বিক্রির টাকায় হয়েছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন তাঁদের আত্মীয়েরা।
আর এতেই তাজ্জব বনে যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। তাঁদেরও প্রশ্ন, কী ভাবে নিজেদের সন্তানদের একের পর এক বিক্রি করে দেওয়া সম্ভব? আর কী ভাবেই বা সম্ভব তার পরেও এমন নির্বিকার থাকা?
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায় রোজই বিকেলের দিকে লালবাজার থেকে ঝর্না-সঞ্জীব এবং গ্রেফতার হওয়া বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হচ্ছে। দম্পতির মুখ থেকে বিক্রি হওয়া বাচ্চার সংখ্যা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তাঁদের বক্তব্য, এক বারও বিক্রি হওয়া ছেলেমেয়েরা কেমন আছে, তা জানতে চাননি ওই বাবা-মা। এমনকী, হোমে থাকা দুই ছেলে তাঁদের অনুপস্থিতিতে কেমন আছে, সেই প্রশ্নও করেননি। মঙ্গলবার পুলিশ ঝর্নার জা, শাশুড়ি এবং পরিবারের আরও কয়েক জনকে জেরা করে। তাঁদের কাছ থেকেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।