E-Paper

জমির নথি নেই, ভোগান্তিতে কলোনি এলাকার বাসিন্দারা

অরবিন্দনগরের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা লিলি সেনগুপ্তের ছেলে দেবেন্দ্র জানান, বাড়ির জমির প্রমাণপত্র না থাকায় মিউটেশন করাতেপারছেন না তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ০৭:৩২
A Photograph of Kolkata Mayor Firhad Hakim

মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্থানীয় বিধায়কের মাধ্যমে জমির দলিল বিষয় ও পুনর্বাসন দফতরে আবেদন করার কথা বলেছেন। ফাইল ছবি।

জমির দলিল না থাকায় নিজেদের সম্পত্তির মিউটেশন করতে পারছেন না তাঁরা। ফলে পুরসভা ওই সব এলাকার সম্পত্তিকর আদায় থেকে এক দিকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনই পুর পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সংযুক্ত এলাকাভুক্ত ওই সব কলোনি এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁদের এই দুর্ভোগের কথা সম্প্রতি পুরসভার মাসিক অধিবেশনে তুলে ধরেছিলেন ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি তপন দাশগুপ্ত। তার পরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্থানীয় বিধায়কের মাধ্যমে এ বিষয়ে উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতরে আবেদন করার কথা বলেছেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুরপ্রতিনিধি তপন পুরসভার মাসিকঅধিবেশনে এক প্রস্তাবে বলেন, ‘‘৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেশির ভাগঅঞ্চলই কলোনি। সেখানকার অরবিন্দনগর, সমাজগড় বা বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু পরিবার ৭০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে একইজায়গায় বসবাস করছেন। তবু সংশ্লিষ্ট দফতরে বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও তাঁদের কাছে কোনও সরকারি কাগজ নেই। ওই নাগরিকরাযাতে নিরাপদে বসবাস করতেপারেন, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হোক।’’ এর পরেই ফিরহাদ বলেন, ‘‘ওই সমস্ত এলাকার জমি উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতরের অধীনে রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়কের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করলে ভাল হয়।’’

অরবিন্দনগরের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা লিলি সেনগুপ্তের ছেলে দেবেন্দ্র জানান, বাড়ির জমির প্রমাণপত্র না থাকায় মিউটেশন করাতেপারছেন না তিনি। বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ থাকলেও পুরসভাকে সম্পত্তিকর না দেওয়ায় জল আসে না। ফলে রাস্তা থেকে জল বয়েআনতে হয়। সমাজগড়ের বাসিন্দা রাজু মণ্ডল বলেন, ‘‘জমির দলিল নাথাকায় চরম সমস্যায় পড়ছি। পুরসভা তথা প্রশাসনের কাছে আবেদন, আমাদের জমির প্রমাণপত্র যাতে দ্রুত পেতে পারি, সেই ব্যবস্থা করা হোক।’’ স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি তপন জানিয়েছেন, এই বিষয়টির দ্রুত সমাধানে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে চিঠি লিখেছেন তিনি।

টালিগঞ্জের বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বলেন, ‘‘কলোনি এলাকার কিছু জমি এখনও উদ্বাস্তু ওপুনর্বাসন দফতর অধিগ্রহণ করেনি। ফলে বাসিন্দাদের পাট্টা দেওয়াহয়নি। ওই এলাকার অধিকাংশ জমি সংশ্লিষ্ট দফতর অধিগ্রহণ করে পাট্টা দেওয়ার কাজ শেষ করেছে। যাঁরা পাট্টা পাননি, তাঁদের পাট্টা দিতে প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি, শীঘ্রই কাজ হয়ে যাবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Colony Land Kolkata Mayor Firhad Hakim

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy