E-Paper

পুলিশের অনুমতি পেলে হাসপাতাল থেকে ছুটি মিলবে শিশুকন্যার

পুলিশের অনুমতি পেলে শিশুটিকে ছুটি দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, শিশুটিকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত, ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা রাজীব ঘোষকে মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪৪
ধর্ষণ করা হয়েছিল সাত মাসের শিশুকন্যাকে।

ধর্ষণ করা হয়েছিল সাত মাসের শিশুকন্যাকে। —প্রতীকী চিত্র।

গত নভেম্বরে ফুটপাত থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল সাত মাসের শিশুকন্যাটিকে। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই শিশুকন্যা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দু’টি অস্ত্রোপচারের পরে আপাতত তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পুলিশের অনুমতি পেলে শিশুটিকে ছুটি দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, শিশুটিকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত, ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা রাজীব ঘোষকে মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সূত্রের খবর, ৩০ নভেম্বর উত্তর কলকাতার এক বাসিন্দা বাড়ির সামনের ফুটপাতে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। শিশুর যৌনাঙ্গ-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুটিকে আর জি করে ভর্তি করে। পরীক্ষায় দেখা যায়, শিশুটির যৌনাঙ্গ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। মলাশয় ও পায়ুমুখের পেশীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার যৌনাঙ্গের পাশাপাশি, কোলেস্টমি করে মলাশয় ও পায়ুমুখের ক্ষত মেরামত করা হয়। মলত্যাগের জন্য পেটে একটি ছিদ্র করে তাতে কোলেস্টমি ব্যাগ লাগানো হয়। ওই অস্ত্রোপচারের পরে শিশুটিকে কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তার পরে ফের অস্ত্রোপচার করে পেটের ছিদ্র বন্ধ করে স্বাভাবিক মলত্যাগের ব্যবস্থা করা হয়। এখন নিজের মুখে খাচ্ছে শিশু। প্রস্রাব ও মলত্যাগও স্বাভাবিক ভাবেই করছে। শিশু শল্য চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পরবর্তী কালে অর্থাৎ বয়স বাড়লে সাধারণ ভাবে আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে তা এখনই পুরোপুরি নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

এ দিন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস, উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী-সহ চার সদস্যের দল আর জি করে শিশুটিকে দেখতে যায়। পরে তুলিকা বলেন, ‘‘ওর চার বছরের এক দাদা আছে। পরিবার জানিয়েছে, তারা গ্রামে ফিরে যাবে। সেই জেলায় দায়িত্বের থাকা আমাদের প্রতিনিধিদের বলা হচ্ছে, ওঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে।’’ তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককেও শিশুটির পুষ্টিগত দিকে নজর রাখতে বলা হবে। সরকারি নিয়মানুযায়ী সমস্ত ক্ষতিপূরণ পাবে শিশুটি। তবে তার পরিবারের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। সেই অ্যাকাউন্ট খোলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rape police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy