ঘণ্টা দুয়েকের জন্য বাইরে সপরিবার কাজে গিয়েছিলেন গৃহকর্তা। আর সেই ফাঁকে দিনেদুপুরেবাড়ি থেকে চুরি হয়ে গেল নগদ বেশ কয়েক হাজার টাকা-সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সোনা ও রুপোর গয়না। বাড়ি ফিরে ঘরের লন্ডভন্ড অবস্থা দেখে তাজ্জব হয়ে যান ওই ব্যক্তি। তিনি বেলেঘাটা থানার দ্বারস্থ হন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে বেলেঘাটা থানা ও লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। থানার অদূরে দিনের বেলায় এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশি নজরদারি নিয়েও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলেঘাটা থানার কাছেই বদন রায় লেনে একটি বাড়ির একতলার ফ্ল্যাটেসপরিবার থাকেন অভিযোগকারী। ওই বাড়িরই উপরতলায় তাঁর এক ভাই পরিবার নিয়ে থাকেন। পুলিশকে অভিযোগকারী জানিয়েছেন, শুক্রবার বেলার দিকে তিনি বাড়িরএকটি কাজে বেরিয়েছিলেন। ঘর ছিল তালাবন্ধ। কাজ সেরে ঘণ্টা দুয়েক পরে তিনি ফিরে আসেন।ওই ব্যক্তির অভিযোগ, বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ঘরে ঢোকার দরজার তালা খোলা। ভিতরে আলমারিও খোলা। জিনিসপত্র সব লন্ডভন্ড। উধাও একাধিক গয়না।
গৃহকর্তা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, সাতটি সোনার হার, ১০ জোড়া দুল, আংটি-সহ বেশ কিছু গয়না চুরি গিয়েছে। মিলছে না বেশ কিছু রুপোর গয়নাও। পাশাপাশি, নগদ ২৩ হাজার টাকাও চোর নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারী জানিয়েছেন, তিনি শুক্রবার বেরোনোর সময়ে অন্য দিনের মতো বাড়িতে ঢোকার সদর দরজার পাশেএকটি জায়গায় ফ্ল্যাটের চাবি রেখে গিয়েছিলেন। পুলিশের অনুমান, সেখান থেকে চাবি নিয়ে দরজা খুলে ঢোকে চোর। এর পরে আলমারির চাবিযেখানে থাকত, সেখান থেকে চাবি নিয়ে গয়না চুরি করে। অভিযোগকারীর কথায়, ‘‘আমরা যেখানে যা রাখি, তা সম্ভবত জানত চোর। এমনকি, চাবি কোথায় রাখা থাকে, তা-ওতার নজরে ছিল। আমরা বাড়ি থেকে বেরোতেই সে সমস্ত লুটপাট করে নিয়ে যায়।’’
তদন্ত শুরু করে ইতিমধ্যেই একাধিক বার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্তকারীরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকেরাও। অভিযোগকারীর বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনার দিন কারওসন্দেহজনক গতিবিধি ছিল কিনা, তা-ও দেখা হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)