পেশাদার খুনি ভাড়া করে প্রেমিকার স্বামীকে খুন করিয়েছিল প্রেমিক। গত বছর ঘটনাটি ঘটেছিল সল্টলেকের বৈশাখী আবাসনে। তার পরে এক বছরও কাটেনি। সেই বৈশাখী আবাসনেই আক্রান্ত হলেন এক মহিলা। এ বারেও হামলাকারী মহিলার ‘প্রেমিক’, বহিরাগত এক যুবক।
শনিবারের ওই ঘটনায় বাসিন্দাদের মুখে উঠে এসেছে বহিরাগত আতঙ্কের কথা। তাঁদের অভিযোগ, সল্টলেকে অস্ত্র নিয়ে যে কেউ ঘুরে বেড়াবে, অপরাধ ঘটাবে। সাধারণের নিরাপত্তা কোথায়? পুলিশের অবশ্য দাবি, নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে বৈশাখী আবাসনের বাসিন্দা অর্পিতা খানকে ধারালো ছুরি দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা রাজেশ মুখোপাধ্যায়। তার আগে তিনি অর্পিতার বাড়ির কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। অর্পিতাকে মারার পরে রাজেশ হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে পুলিশের দাবি। বাসিন্দারা উদ্ধার করেন অর্পিতাকে।
আক্রান্তের পরিবারের তরফে রবিবার রাত পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ নিজে থেকেই খুন ও আত্মহত্যার চেষ্টার মামলা করেছে। রাজেশ ও অর্পিতাকে প্রথমে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে এনআরএসে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে ছেড়ে দেওয়া হয় অর্পিতাকে। রাজেশ এনআরএসে ভর্তি। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ফেসবুকে অর্পিতার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল রাজেশের। তা থেকে ঘনিষ্ঠতা। সম্প্রতি দু’জনের মনোমালিন্য হয়। তার জেরেই এই ঘটনা বলে সন্দেহ পুলিশের। অর্পিতা বিবাহিত। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে বৈশাখী আবাসনে থাকেন।
যদিও রাজেশের অভিযোগ, অর্পিতা তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখেননি। উল্টে সম্পর্ক শেষ করার হুমকি দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে অর্পিতার বক্তব্য জানা যায়নি। রবিবার অর্পিতার বাবা শিবনাথ চক্রবর্তী জানান, তাঁরা হামলাকারীকে চেনেন না। তাঁরা এই ঘটনায় অভিযোগ করবেন না বলেই জানিয়েছেন।
এক পুলিশকর্তা জানান, ব্যক্তিগত সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরে এই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। এর সঙ্গে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা ঠিক নয়। নজরদারি বেড়েছে, পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপও করছে।