কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ছবি: পিটিআই।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু হওয়ার পরে প্রথম বার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা হচ্ছে সল্টলেকে। ফলে শহরতলি থেকে শিয়ালদহ হয়ে সল্টলেকে আসার পথ অনেকটা সহজ হওয়ায় সপ্তাহান্তে মেলায় ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মত অনেকের।
এ সব নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বুধবার দীর্ঘ বৈঠক হয় পুলিশের। বিধাননগরের নগরপাল গৌরব শর্মা মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, উপর থেকে ভিড়ের উপরে নজরদারি চালাতে করুণাময়ী চত্বরে বাড়তি সিসি ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভিড়ের সময়ে মেট্রোয় টিকিট কাটা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে সব কাউন্টার খুলে রাখতে বলা হয়েছে। সব স্টেশনে পর্যাপ্ত টোকেন ও স্মার্ট কার্ড রাখার কথাও বলা হয়েছে। সপ্তাহান্তে ভিড়ও বাড়বে।
যে হেতু করুণাময়ীতেই বইমেলা হয়, তাই ওই স্টেশনকে পাখির চোখ করা হচ্ছে। তবে নজরদারি থাকবে সেন্ট্রাল পার্ক স্টেশনেও। করুণাময়ী স্টেশনে যাত্রীর ভিড় সব চেয়ে বেশি হতে পারে ধরে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে সব সময়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে বলা হয়েছে। যদিও এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘প্রথম বারে মেট্রোর সুবিধা বইপ্রেমীরা যথাসম্ভব নিতে চাইবেন। যদিও বইপ্রেমীদের সংখ্যা মোটামুটি নির্দিষ্ট। যাঁরা বইমেলায় আসেন, তাঁরা প্রতি বারই যে কোনও পরিস্থিতিতে আসতে চান। ফলে ভিড়ের চরিত্রে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না ধরে নেওয়া যায়। তবুও আমরা সতর্ক রয়েছি।’’
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, বইমেলার কথা ভেবেই দৈনিক ১০৬টি ট্রেনের জায়গায় সোম থেকে শনিবার ১২০টি ট্রেন চালানো হচ্ছে। ওই দিনগুলোয় দুপুর থেকে রাত সওয়া ন’টা পর্যন্ত ১২ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। রবিবারেও দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ৮০টি ট্রেন চলবে। তবে প্রায় ১৫ মিনিট অন্তর। প্রয়োজনে বাড়তি ট্রেন চালানোর প্রস্তুতিও তারা রাখছে বলে মেট্রোর দাবি। করুণাময়ী স্টেশনে প্রবেশ-প্রস্থানের পথে যাতে অস্বাভাবিক ভিড় না হয়, তা নজর রাখতে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। মেট্রো জানিয়েছে, বইমেলার কারণে যাতে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনে ভিড় নিয়ে সমস্যা না হয়, সে জন্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও সংযোগ রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy