নতুন রেক নয়, এতদিনে কলকাতা মেট্রোর হাতে এল রেকের ইঞ্জিনের অর্থাৎ চালকের কেবিনের একটি অংশ। তা-ও আবার মডেল, যা দেখে ঠিক করতে হবে কোথায় চালক বসবেন, কোথায়ই বা চালকের প্যানেল বসানো হবে, কোথায় বসবে ট্রেনের টক ব্যাক সিস্টেম, জিপিএস ফোন ইত্যাদি। মেট্রো কর্তৃপক্ষ সেগুলি ঠিক করে জানানোর পরে তবেই তৈরি হবে নতুন বাতানুকূল রেক।
বাতানুকূল রেক আসা নিয়ে কমপক্ষে ছ’বার তারিখ পাল্টেছেন মেট্রো কতৃর্পক্ষ। শেষে এ বছর মার্চে নতুন রেক আসবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও নতুন রেক আসেনি। গুনতিতে সেই ১৩টি বাতানুকূল রেকই সম্বল কলকাতা মেট্রোর। এ গুলি দিয়েই পুরো গরমটা সামলাতে হবে মেট্রো কতৃর্পক্ষকে।
প্রতি বছর গরমেই বাতানুকূল মেট্রো রেকগুলিতে নানা ত্রুটি দেখা যায়। যাত্রীদের আশঙ্কা, তিন বছরে এই প্রোটোটাইপ বাতানুকূল রেকগুলিরও বয়স আরও বেড়ে গিয়েছে। ফলে এ বারও সেই ত্রুটি হতে পারে। কিন্তু অবস্থা সামাল দেওয়ার মতো মেট্রোর হাতে এখন ১৩টি বাতানুকূল ও ১৪টি সাধারণ রেক। ১৭টি রেক দিয়েই চালাতে হচ্ছে ৩০০ পরিষেবা।
বেশির ভাগ পুরনো রেকগুলির বয়স বাড়ায় নতুন রেকের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। মেট্রোর যাত্রাপথ বাড়ানোর সময়ে নতুন রেকের কথা আরও জোরদার হয়। তার পরে অনেক সময় পেরিয়েছে, মেট্রো কর্তৃপক্ষ রেক আসার কথা শোনালেও আসেনি একটিও নতুন রেক। এত দিনে মেট্রোর হাতে নতুন রেকের চালক কেবিনটি যেমন হবে তার একটি খোল এসেছে। এ ব্যাপারে মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ ঘোষ অবশ্য বলেছেন, ‘‘অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা করে একটি রেক তৈরি হয়। এ বার যে বাতানুকূল রেকগুলি আসবে সেগুলি আর প্রোটোটাইপ (পরীক্ষামূলক) হবে না। তাই একটু সময় লাগছে। আর রেক এলেই সরাসরি তা যাত্রীদের জন্য লাইনে নামিয়ে দেওয়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy