আহত রীতাদেবী। বৃহস্পতিবার, সোদপুরে। নিজস্ব চিত্র
প্রথমে ভেবেছিলেন স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু পরক্ষণেই প্রৌঢ়া বুঝতে পারলেন ঘরে চোর ঢুকেছে। আর তাকে ধরতে যাওয়ায় লোহার রড দিয়ে মেরে প্রৌঢ়া ও তাঁর ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিল চোর। বৃহস্পতিবার ভোরে সোদপুর ৬ নম্বর এইচবি টাউনের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মী প্রসূনকুমার বিশ্বাস ও তাঁর মা রীতা বিশ্বাস মাস দেড়েক
ধরে এইচবি টাউনের একটি দোতলা বাড়ির একতলায় ভাড়া রয়েছেন। ভোর চারটে নাগাদ আচমকা ঘুম ভাঙায় রীতাদেবী দেখেন লম্বাটে চেহারার এক যুবক আলমারি থেকে মোবাইল বার করছে। প্রৌঢ়া বলেন, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম স্বপ্ন দেখছি। কয়েক মিনিটের মধ্যে বুঝতে পেরে চোর চোর বলে চেঁচিয়ে উঠতেই ওই
যুবক ছুটে বেরিয়ে যায়।’’ চোরকে খুঁজতে বেরিয়ে প্রসূন দেখেন পাশের ঘরের জানলা ভাঙা। আর রান্নাঘরের দরজার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে ওই চোর। অভিযোগ, তাকে কলার ধরে টেনে বের করার চেষ্টা করতেই সে প্রসূনের মাথায় লোহার রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে। এর পরেই পাশে থাকা রীতাদেবীকেও মাথায় বেশ কয়েক বার আঘাত করে গলার হার হাতের চুরি এবং আলমারি খুলে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় কিছুক্ষণ পরে থাকার পরে কোনও মতে রাস্তায় বেরিয়ে মা ও ছেলে একটি রিকশা ডেকে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান।
খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর অরিজিৎ ঘোষ ওই বাড়িতে যান। তিনি বলেন, ‘‘ভয়ানক ঘটনা। এমন আঘাতে ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। পুলিশকে বলেছি ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে।’’ এ দিনই ওই এলাকার একটি চারতলা আবাসনের একতলায় দুর্গা মন্দিরের কোলাপসিব্ল দরজা ভেঙে পিতলের বিগ্রহ-সহ, গয়না, বাসনপত্র সব
চুরি গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy