Advertisement
E-Paper

Theft: চোর ধরতে নাকাল, সল্টলেকে পুলিশের হাত কামড়ে পালাল দুই নিশিকুটুম্ব

রাস্তায় টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায়, দুই দুষ্কৃতী চুরির সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:৩৪
তদন্ত: সল্টলেকের এএইচ ব্লকের ঘটনাস্থলে পুলিশ। বুধবার।

তদন্ত: সল্টলেকের এএইচ ব্লকের ঘটনাস্থলে পুলিশ। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।

চোরের দল পালিয়ে গেল পুলিশকে জখম করে! সল্টলেকের এএইচ ব্লকের এক বাসিন্দা শেষ রাতে দেখতে পান, উল্টো দিকের বাড়িতে তালা ভেঙে ঢুকছে কয়েক জন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দেন পুলিশে। রাস্তায় টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায়, দুই দুষ্কৃতী চুরির সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। এক জনকে ধরেও ফেলেছিলেন এক পুলিশকর্মী। কিন্তু তাঁর হাতে কামড় বসিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। চোর ধরতে গিয়ে আহত হন এক পুলিশ আধিকারিকও।

সল্টলেকের ওই ব্লকে সোমবার ভোরের এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা। এএইচ-১৯৩ নম্বর বাড়িতে ওই চুরির চেষ্টা হয়। বিধাননগরের পুলিশ জানায়, একটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে দুষ্কৃতীরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসছিল। সেই সময়েই তারা পুলিশের মুখোমুখি পড়ে যায়। ধস্তাধস্তির সময়ে এক কনস্টেবলের হাতে কামড় বসিয়ে দেয় এক দুষ্কৃতী। এর পরে তারা বাড়ির ভিতরের দিকে ঢুকে একটি রেলিং দেওয়া পাঁচিল টপকে পালায়। সেই সময়ে রেলিংয়ে লেগে জখম হন এক পুলিশ আধিকারিকও।

দুষ্কৃতীরা শেষ পর্যন্ত চুরি করতে সফল না হলেও এই ঘটনায় আতঙ্কিত অনেকেই। এএইচ-১৯৩ নম্বর বাড়িটি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রণবেশ জানার। ওই বাড়ির পাশেই এইচ-১৯৫ নম্বর বাড়ির বাসিন্দারা জানান, ওই রাতে তাঁরা তাঁদের গ্যারাজের উপরে লোকজনের পায়ের শব্দ পান। দেখা যায়, দু’-তিন জন তাঁদের বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন বাড়ির গেটে টর্চের আলো ফেলছে।

সেই টর্চের আলো পড়ে ওই অধ্যাপকের বাড়ির উল্টো দিকে, ২১৬ নম্বর বাড়ির একতলার ঘরে। বাড়ির মালিক সুমিত গোস্বামী জানান, তাঁর ছেলের চোখে টর্চের আলো পড়েছিল। তার পরে ছেলেই তাঁকে জানান, পাড়ায় চোর এসেছে। সুমিতবাবুর কথায়, ‘‘বাড়ির বাইরে চোর আসার কথা জানতে পেরে প্রথমে সব দরজায় তালা দিয়ে দিই। সেই সঙ্গে বাড়ি অন্ধকার রেখেই ওই দুষ্কৃতীদের উপরে নজর রাখতে শুরু করি।’’

তাঁরা দেখতে পান, দুষ্কৃতীরা পাঁচিল টপকে ১৯৩ নম্বর বাড়ির লোহার গেটের তালা ভাঙার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেই দফায় ভাঙতে না পেরে দশ মিনিট পরে তালা ভাঙার সরঞ্জাম নিয়ে আসে দুষ্কৃতীরা। তার পরে অধ্যাপকের বাড়ির একতলায় ঢুকে যায়। একই সঙ্গে সুমিতবাবুরা দেখেন, এক জন বাড়ির দোতলায় উঠে গিয়েছে।

এর পরে অধ্যাপক ও তাঁর স্ত্রীকে স্প্রে করে অজ্ঞান করার চেষ্টা হতে পারে আশঙ্কা করেই সুমিতবাবু থানায় ফোন করেন। দ্রুত পুলিশ
ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এএইচ-১৯৩ নম্বর বাড়ির ভিতরে ঢোকে পুলিশও। সেখানে দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু এক জনের হাত কামড়ে তারা পালায়। অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ওই বাড়ির একতলায় যাঁরা ভাড়া থাকেন, ল্যাপটপ ও
মোবাইলটি তাঁদেরই। সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

বিধাননগরের ডেপুটি কমিশনার (সদর) সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। ওরা চুরির সামগ্রী নিয়ে যেতে পারেনি। সেগুলি উদ্ধার করা গিয়েছে।’’

Bidhannagar Police Commissionerate thief
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy