প্রতীকী ছবি।
চুরির পরে চার মাসেরও বেশি কেটে গিয়েছে। অভিযোগ, এখনও অন্ধকারে পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবি, চোর ধরা পড়েছে। কিন্তু এখনও চুরির মাল কিছুই পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তেরাও জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছে।
২৯ মার্চ দিনেদুপুরে বাইপাসের মেট্রোপলিটনে অমৃতা ভৌমিকের ফ্ল্যাটে তালা ভেঙে সোনা-হিরের গয়না, দামি হাতঘড়ি ও টাকা চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। অন্য দিনের মতোই সে দিন সকালে অমৃতা ও তাঁর স্বামী অনিন্দ্য ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে অফিসে বেরিয়ে যান। দুপুর আড়াইটা নাগাদ পরিচারিকা এসে দেখেন কোলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা। ওই আবাসনেই থাকেন অমৃতার শ্বশুর-শাশুড়ি। পরিচারিকা তাঁদের ডেকে আনেন। ঘরে ঢুকে দেখা যায় আলমারি খোলা, লণ্ডভণ্ড ফ্ল্যাট।
পুলিশের দাবি, ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়ে। তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা মাল গৃহকর্ত্রীকে দেখালে তিনি জানান, সেগুলি তাঁর নয়।
পুলিশ জানিয়েছিল, অমৃতারা কখন তালা মেরে বেরিয়ে যান তা চোরেরা জানত। পুরনো কেয়ারটেকার কাজ ছেড়ে গিয়েছিলেন এবং চুরির সময়ে নতুন কেয়ারটেকার যোগ দেননি। পুলিশের দাবি, এ খবর চোরেদের কাছে ছিল। পুলিশের আরও দাবি, অভিযুক্তদের ধরার পরে তাদের মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন দেখেও নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে তারা ওই সময়ে মেট্রোপলিটনেই ছিল।
তাদের থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া মালপত্র অমৃতাদের দেখানো হলে তাঁরা জানান, বাজেয়াপ্ত গয়না তাঁদের নয়। পুলিশের দাবি, তদন্ত এখনও চলছে। যদিও চোরেদের নামে চার্জশিট জমা পড়েনি। সাধারণত অভিযুক্তদের ধরার ৯০ দিনের মধ্যে পুলিশকে আদালতে চার্জশিট জমা দিতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy