প্রতীকী চিত্র।
করোনা চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ রাখতে এ বার পদক্ষেপ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের কাজের সময় এবং সাপ্তাহিক ছুটির বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে রাজ্যে সরকারি স্তরের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছিল প্রশাসন। প্রতিটি হাসপাতালে কোভিড এবং সারি (সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস) ওয়ার্ড চালুর পাশাপাশি ক্রমাগত বাড়ানো হয়েছিল শয্যার সংখ্যা। সেই সঙ্গে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে থাকায় অতিরিক্ত কাজের বোঝা সামলাতে নন-কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদেরও কাজে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে। নিয়োগ করা হয়েছে চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক ও নার্স। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে একটানা কাজের ফলে অনেক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটিও বাতিল হয়েছিল।
তবে বর্তমানে সংক্রমণের হার কমতে থাকায় এ বার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের সময় এবং ছুটিতে সামঞ্জস্য রাখতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য শিবিরের পর্যবেক্ষণ, এক নাগাড়ে কাজ করার ফলে অনেক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ক্লান্তি ভাব চলে আসছিল। সেই কারণেই সম্প্রতি স্বাস্থ্য-অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, মহকুমা ও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, খুব অসুবিধা না-থাকলে কোভিড ও সারি ওয়ার্ডে যুক্ত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের টানা আট ঘণ্টার বেশি সকালের শিফটে ডিউটি দেওয়া যাবে না। রাতের শিফটে ডিউটি দিতে হবে ছ’-সাত ঘণ্টা। এর মধ্যে এক ঘণ্টা দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য পাবেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সকাল ও রাতের শিফট মিলিয়ে সপ্তাহে পাঁচ দিন টানা ডিউটি করার পরে দু’-তিন দিনের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগও মিলবে। রাজ্যের সব সরকারি করোনা হাসপাতালের কোভিড ও সারি ওয়ার্ডে যুক্তদের জন্য ১ জুন থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘মনে রাখতে হবে, চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরাও মানুষ। তাঁদেরও চাপ নেওয়ার সীমা রয়েছে। তাই কাজের সময় ও সাপ্তাহিক ছুটির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy