—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে ‘কাজের ছেলে’কে পদ দিল তৃণমূল। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ হলেন জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রাক্তন সিআইসি প্রবীর পাল ( কেটি)।
শুক্রবার ছিল পুরসভার মনিটরিং কমিটির বৈঠক। সেখানেই আলো ও জল বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদ অভিজিৎ মিত্রের পরিবর্তে প্রবীর পালের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কোন দফতরের সিআইসি হচ্ছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআইসি বদলের কথা বলার পর থেকেই এ নিয়ে সরগরম দমদমের রাজনীতি। কোন অঙ্কে অভিজিতের পরিবর্তে কেটি ফের সিআইসি পদ ফিরে পেলেন, তা নিয়ে কাঁটাছেড়ার অন্ত নেই। দিনভর সরাসরি না হলেও ফেসবুকে প্রবীর এবং অভিজিতের অনুগামীদের মধ্যে চলেছে পোস্ট-পাল্টা পোস্টের লড়াই। এমনকি, দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যজিৎ পাল ফেসবুকে অভিজিতের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘তৃণমূলের দুর্দিনের সাথি আমি তোমার সাথে আছি’!
তৃণমূল সূত্রের খবর, সামনে লোকসভা নির্বাচন। দমদমের রাজনীতিতে কেটির সাংগঠনিক দক্ষতার কথা মাথায় রেখে তাঁকে পদ দেওয়া হল। তা ছাড়া স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রিয় তো বটেই, কেটিকে অপছন্দ করেন না সাংসদ সৌগত রায়ও। কেটির মতো দক্ষ সংগঠক কেন দ্বিতীয় বার সিআইসি হলেন না, তা নিয়ে ‘ঘনিষ্ঠ মহলে’ একাধিক বার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্বয়ং পুরপ্রধান। বস্তুত, গত বিধানসভা নির্বাচনে অভিজিতের ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিলেন ব্রাত্য। সেখানে বিধায়ককে সর্বোচ্চ লিড দিয়েছিলেন কেটি।
তবে বদলের প্রেক্ষিতে প্রমোদনগর মেট্রো পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে মনিটরিং কমিটির পর্যবেক্ষণের কথাও বলছেন একাধিক কাউন্সিলর। ওই প্রকল্পে বাজেট বর্হিভূত খরচ কেন হল, তা খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গড়া হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, প্রকল্পের বরাতপ্রাপ্ত অন্যতম ঠিকাদার সংস্থা অভিজিতের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত। যদিও জেলার সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘কোনও কারণে অভিজিৎকে সরানো হয়নি। কোনও দুর্নীতির অভিযোগও নেই। বিচক্ষণ, লড়াকু ছেলেকে যুব সংগঠনের কাজে লাগাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy