Advertisement
E-Paper

অটো-টোটোর বিরোধ বন্ধে এলাকা ভাগ করতে উদ্যোগী পরিবহণ দফতর

একা অটোয় রক্ষা নেই, টোটো দোসর!এ বার তাই টোটো বা ই-রিকশা এবং অটোর সাম্রাজ্য ভাগ করে দিতে উদ্যোগী হল রাজ্য পরিবহণ দফতর।রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে অটোর দাদাগিরি আটকাতে কমিটি থেকে শুরু করে টাস্ক ফোর্স— সবই হয়েছে।

অত্রি মিত্র

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:১৪

একা অটোয় রক্ষা নেই, টোটো দোসর!

এ বার তাই টোটো বা ই-রিকশা এবং অটোর সাম্রাজ্য ভাগ করে দিতে উদ্যোগী হল রাজ্য পরিবহণ দফতর।

রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে অটোর দাদাগিরি আটকাতে কমিটি থেকে শুরু করে টাস্ক ফোর্স— সবই হয়েছে। কিন্তু অটোর দাদাগিরি রয়ে গিয়েছে একই বিন্দুতে। আর এ বার তার সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে টোটোর সঙ্গে অটোর বিরোধ।

সোনারপুর থেকে ব্যান্ডেল— সর্বত্রই অটো আর টোটোর বিবাদে জেরবার প্রশাসন। সব জায়গাতেই অটো এবং টোটো— দু’দিকের ইউনিয়ন তৃণমূলের দখলে। কিন্তু তাতেও দ্বন্দ্ব ঠেকানো যাচ্ছে না। অটো-টোটোর মারপিটের জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘সোনারপুর আর ব্যান্ডেলের ঘটনা বড় আকার নিয়েছিল। তাই খবরে এসেছে। ছোটখাটো ঘটনা রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই ঘটছে।’’ মাসখানেক আগেও একই ধরনের গণ্ডগোল বেধেছিল ব্যারাকপুরের শ্যামনগরে। ওই পরিবহণ কর্তা জানান, পরপর এমন গণ্ডগোলেই ঘুম ছুটেছে রাজ্য পরিবহণ দফতরের।

এ বার তাই টোটো ও অটোর ঝামেলা ঠেকাতে আসরে নামছে পরিবহণ দফতরই। রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের মতে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় টোটো বাড়তেই তারা ভাগ বসিয়েছে অটোর বাজারে। রাজ্যের যে সব জায়গায় বাসের রমরমা কম, সে সব জায়গায় এত দিন অটোর কার্যত একচ্ছত্র সাম্রাজ্য ছিল। টোটো আসতে অটোর সেই বাজারে ভাটার টান। নির্ঝঞ্ঝাট যান হওয়ায় গ্রামেগঞ্জে যাত্রীরাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঝুঁকছেন টোটোর দিকে। অভিযোগ, এখানেই টোটো নিয়ে মাথাব্যথা শুরু হয়েছে অটোমালিক এবং চালকদের। টোটোর রমরমা ঠেকাতে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা মারমুখী হয়ে উঠছেন।

পরপর এ ধরনের ঘটনার পরে চলতি সপ্তাহে পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়েছে পরিবহণ কর্তাদের। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অটো ও টোটো নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করে দেওয়া হবে। রাজ্যের প্রত্যেকটি আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসকে জানিয়ে দেওয়া হবে, অটোর রুট পুনর্বিন্যাস করতে। সেখানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে টোটোর রুট এবং এলাকাও বিন্যাস করে দিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে অটোর রুটে কাটছাঁট করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে টোটোর ক্ষেত্রে গ্রামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার উপরেই বাড়তি জোর দিতে বলা হয়েছে।

যদিও পরিবহণ কর্তারা জানাচ্ছেন, সোনারপুর, বারাসত, মধ্যমগ্রামের মতো শহরতলি এলাকা-সহ রাজ্যের সর্বত্র এখন যে টোটোগুলি চলছে, তার অধিকাংশই বেআইনি। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, কোন ই-রিকশা আইনি। আঞ্চলিক অফিসগুলি যে রুট পুনর্বিন্যাস করবে, তা ই-রিকশা চলার জন্যই। তা হলে অবৈধ টোটোগুলির কী হবে? পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, সেগুলি হয় বাতিল হবে, কিংবা আইনি ই-রিকশার সব শর্ত পূরণ করে তা চালানো যাবে। তবে কোনও অবস্থাতেই রাস্তায় বেআইনি ই-রিকশা চলার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

প্রশ্ন উঠেছে, প্রত্যন্ত এলাকায় ই-রিকশা চললে তো ফের দ্বন্দ্ব শুরু হবে রিকশা এবং ভ্যানোর সঙ্গে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভ্যানো বেআইনি। তাই ভ্যানোর চালকদের আমরা ই-রিকশা চালাতে উৎসাহ দিচ্ছি। আর রিকশাকে বাঁচিয়ে কী করে ই-রিকশা বা টোটোর রুট ঠিক করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।’’

Auto Toto
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy