স্কুলে আচমকা অভিযান চালিয়ে গাড়ির স্বাস্থ্য ছাড়াও চালকের পরিচয়পত্র সংক্রান্ত নথি পরীক্ষা করবেন পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা। সেখানে কোনও রকম অনিয়ম পাওয়া গেলে স্কুলগাড়ি আটক করে প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিলের জন্যে সুপারিশ করা হবে। বুধবার পরিবহণ ভবনে পুলকার এবং স্কুলবাস সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা।
হুগলির পোলবায় স্কুলগাড়ি দুর্ঘটনার পরে নড়চড়ে বসেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে স্কুলগাড়ি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের সচেতন করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো স্কুলশিক্ষা দফতর গত সোমবার এক সরকারি নির্দেশিকায় পুলকারগুলির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র (ফিটনেস সার্টিফিকেট) উইন্ড স্ক্রিনে আটকে রাখার কথা বলেছে। ওই নির্দেশিকায় সরকারি-বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষকে পুলকারের স্বাস্থ্য শংসাপত্র ছাড়াও গাড়িচালকের পরিচয়পত্র সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চেয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে পুলকার এবং স্কুলবাস সংগঠগনের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, প্রয়োজনীয় সতর্কতা ছাড়াই অবৈধ ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুলগাড়ি চলছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এক বার কোনও ক্রমে সরকারি শংসাপত্র আদায় করে নিতে পারলেই হল। অভিযোগ, অনেক স্কুলগাড়ির মালিকই আর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের ধার ধারেন না। অথচ স্কুলগাড়ির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র থাকাই কিন্তু যথেষ্ট নয়। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি।