পথটা সহজ ছিল না। এইচআইভি পজ়িটিভ দু’জনের বিয়ে পরিবার আদৌ মেনে নেবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল বিস্তর। অবশেষে সব বাধা কাটিয়ে রবিবার চার হাত এক হল এইচআইভি পজ়িটিভ ওই যুবক-যুবতীর। শাস্ত্রমতে মন্ত্র পড়ে মালাবদল করলেন দু’জনে। পুরো সময়টা তাঁদের পাশে থাকল সোনারপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
লড়াইয়ের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল অনেক আগে। তিন বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে মেয়েটির ঠাঁই হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যালকলেজ হাসপাতাল হয়ে গোবিন্দপুরের একটি হোমে। তখনও জানা ছিল না, সে এইচআইভি পজ়িটিভ। পরবর্তী কালে বিষয়টি সামনে আসে। মাথা গোঁজার ঠাই মিললেও চিকিৎসার জন্য নিয়মিত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসতে হত তরুণীকে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আলাপ উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা এক যুবকের। হাসপাতালের ছোট ঘরে চিকিৎসা করাতে আসা দু’জনের আলাপ ক্রমে গড়ায় ভালোবাসায়। অবশেষে দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। যুবকটির পরিবারও তাঁদের এই সিদ্ধান্তে বাধা দেয়নি। এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল তারাই। রবিবার সন্ধ্যায় সোনারপুরে চার হাত এক হল দু’জনের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)