দু’টি বেসরকারি বাসের রেষারেষির মধ্যে পড়ে প্রাণ হারালেন এক বৃদ্ধ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডে। মৃতের নাম বিল্বেশ্বর সাহা (৮০)। তাঁর বাড়ি নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকায়। পোশাক সেলাইয়ের কাজ করতেন বৃদ্ধ। যে বাসটি তাঁকে ধাক্কা মারে, সেটি আটক করেছে পুলিশ। তবে বাসের চালক পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বাজারে ফুল কিনতে যাচ্ছিলেন
বিল্বেশ্বর। স্থানীয়দের একাংশ জানান, রাস্তার এক ধার দিয়ে হাঁটছিলেন বৃদ্ধ। সেই সময়ে মধ্যমগ্রাম থেকে সোদপুর অভিমুখে দু’টি বেসরকারি
রুটের বাস নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করতে করতে যাচ্ছিল। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র কলেজের কাছে মধ্যমগ্রাম-হাওড়া রুটের একটি বাস
বিল্বেশ্বরকে ধাক্কা মারে। অভিযোগ, সেই অবস্থাতেও ওই বাসের চালক বাস থামাননি। ফলে, বৃদ্ধকে হেঁচড়ে কিছু দূর নিয়ে যায় বাসটি। শেষে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে লোকজন চিৎকার শুরু করলে বাস থামিয়ে চম্পট দেন চালক।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। বৃদ্ধকে উদ্ধার করে
পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। বিল্বেশ্বরের বড় ছেলে গোপাল সাহা জানান, তাঁর বাবা এ দিন চা-বিস্কুট খেয়ে বাজারে
যাচ্ছিলেন ঠাকুরের ফুল কিনতে। এর কিছু ক্ষণ পরে দুর্ঘটনার খবর পান পরিজনেরা।
এ দিনের দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ
অভিযোগ করেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রী তোলার তাড়ায় সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোড দিয়ে বেপরোয়া ভাবে বাস চালান চালকদের
একাংশ। শুধু বাস নয়, অটো এবং কিছু ক্ষেত্রে ছোট গাড়িও চলে বেপরোয়া গতিতে। ওই রাস্তায় কলেজ, বাজার রয়েছে। গতি নিয়ন্ত্রণ করতে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, ভোরের দিকে ট্র্যাফিক পুলিশের নজরদারি কম থাকে।
সেই সুযোগে ফাঁকা রাস্তায় গতির তুফান তোলেন চালকেরা। তাই গতিসীমা বাঁধার পাশাপাশি ট্র্যাফিক পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর দাবিও উঠেছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের এক কর্তা জানান, সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডে ট্র্যাফিকের নজরদারি রয়েছে। এ দিনের দুর্ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)