দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। শনিবার। — শুভাশিস ভট্টাচার্য
সাত-সকালে নিয়ন্ত্রণ হারানো লরির দৌড়ে প্রাণ গেল দুই ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটে শনিবার সকাল সওয়া সাতটা নাগাদ হেস্টিংসের মোড়ে। একটি ছোট মালবাহী গাড়িকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে পাথরকুচি বোঝাই একটি লরি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গোলাম হুসেন খান (৩৩) এবং শেখ নইমুদ্দিন (৪৭) নামে দুই ব্যক্তির। আহত আরও পাঁচ ব্যক্তিকে এস এস কে এম-এ নিয়ে যাওয়া হলে এক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য চার জন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, লরির বাঁ দিকের চাকা ফেটে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। এর পরেই মালবাহী গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। পুলিশের একাংশের মতে, লরিটিতে অতিরিক্ত মাল বোঝাই থাকায়
এই দুর্ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যাসাগর সেতুর হেস্টিংস র্যাম্প থেকে নামার সময়েই লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, মালবাহী গাড়িটি হেস্টিংস মোড়ে খিদিরপুরগামী সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিল। সেখানেই সেটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে পাথরকুচি বোঝাই লরি। মালবাহী গাড়ির সামনে থাকা বালি বোঝাই একটি লরি এবং ট্যাক্সিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বালি বোঝাই লরির পিছনে চেপ্টে যাওয়া মালবাহী গাড়ি থেকে নইমুদ্দিনের দেহ বার করা হয়। দু’টি লরির মাঝে আটকে যাওয়া গোলাম হুসেন খানের দেহটি উদ্ধার করতে ক্রেনের সাহায্যে বালি বোঝাই লরিটিকে সরাতে হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ও আহতেরা প্রত্যেকেই ব্যবসায়ী এবং হাওড়ার শিবপুরের মোল্লাপাড়া লেনের বাসিন্দা। তাঁরা মালবাহী গাড়ির আরোহী ছিলেন।
এর দুর্ঘটনার জেরে বিদ্যাসাগর সেতুর হেস্টিংস র্যাম্প লাগোয়া রাজপথে আধ ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয়। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ভাইয়ের দেহ নিতে এসে শেখ নইমুদ্দিনের দাদা শেখ লতিবুদ্দিন বলছিলেন, ‘‘কাপড়ের ব্যবসার জন্য ভাই নিয়মিত মেটিয়াবুরুজে যাতায়াত করত এ ভাবে সব শেষ হয়ে যাবে, কখনও ভাবিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy