শহরে ভোটের বাকি দশ দিন। এর মধ্যেই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত কলকাতা। রবিবার রাতে যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, কলকাতা পুরসভার ১০৮ ও ১০৯ নম্বর— দু’টি ওয়ার্ডে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয় দু’টি অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘিরে।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে গড়ফার পি মজুমদার রোডে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ে আগুন লেগে যায়। সামনেই একটি মিনিবাসস্ট্যান্ড থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পৌঁছয় দমকলও। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এই ঘটনা ঘিরে স্থানীয় সিপিএম ও তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে উত্তজনা ছড়ায়। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্তকুমার ঘোষ অভিযোগ করেন, ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে সিপিএম-কর্মীরা এই কাজ করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, সিপিএম
নেতা ও যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর প্ররোচনায় এই ঘটনা ঘটেছে। সুশান্তবাবু বলেন, ‘‘আমরা পুলিশে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। নির্বাচন কমিশনকেও বিষয়টি জানাব।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে সুজনবাবু বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। পুলিশই তদন্ত করে বার করুক এই কাজ আসলে কারা করেছে।’’
আবার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে রবিবার রাতেরই একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। ভগৎ সিংহ কলোনিতে বিধান রায় নামে এক সিপিএম কর্মীর বাড়ির চৌহদ্দিতে আগুন লাগে। বিধানবাবুর বাড়ির পিছনের দিকে একটি বেড়ার ঘরে তৃণমূলের লোকজন আগুন ধরিয়ে দেয় বলে সিপিএম অভিযোগ করেছে। সিপিএমের পতাকা ও ফ্লেক্স-ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন সুজনবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট সুব্রত দাশগুপ্ত। অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
তবে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিপিএমের অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই।’’
রবিবার রাতেই কংগ্রেস অফিস থেকে জোটের বৈঠক করে ফেরার পথে সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, দক্ষিণ গৌরীপুরের বাসিন্দা সিপিএমের স্থানীয় নেতা মৃত্যুঞ্জয় হাতি তৃণমূলকর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সিপিএমের অভিযোগ। তবে ওই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy