দলের ভাবমূর্তি যে কোনও ভাবে রক্ষা করতে হবে। তাই কোথাও ভজাই-হায়দররা গ্রেফতার হচ্ছে, আবার কোথাও দলের কর্মী গ্রেফতার হলে দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে।
তার মধ্যেই সোমবার বেআইনি অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগে সিঁথির দুই ‘যুব তৃণমূল’ নেতা গ্রেফতারের পরে উত্তর কলকাতার যুব তৃণমূলের তরফে দাবি, ধৃতেরা তাদের পদাধিকারী বা সদস্য নন। অথচ মঙ্গলবার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু সেন জানিয়েছিলেন, ধৃত রাজা মুখোপাধ্যায় আগে পদাধিকারী ছিলেন। স্থানীয় যুব তৃণমূল সূত্রেও দাবি করা হয়েছিল, ধৃত রাজা ওই এলাকার যুব তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য।
উপরন্তু, গত পুরভোটে রাজা ও খোকনকে সক্রিয় অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল। এমনকী, গ্রেফতারির পরে দমদম থানার বাইরে তৃণমূল কর্মীদের ভিড়ও দেখা গিয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছিল, দল কী ব্যবস্থা নেবে? যদিও শান্তনুবাবু বলেছিলেন, ‘‘কারও ব্যক্তিগত দায় দল নেবে না।’’ তখনই ইঙ্গিত বোঝা গিয়েছিল। বুধবার যুব তৃণমূল নেতাদের কথায় তা স্পষ্ট হল। এ দিন উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের সভাপতি মৌসুমী দে ও কার্যকরী সভাপতি সৌম্য বক্সী দাবি করেন, ধৃতেরা যুব তৃণমূলের পদাধিকারী কেন, প্রাথমিক সদস্যও নন। তবে, সমর্থক হতে পারেন।
অর্থাৎ, যাঁরা দলের সঙ্গে যুক্তই নন, তাঁদের দল থেকে বার করার প্রশ্নও ওঠে না। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সদস্য হিসেবে স্বীকার না করা কৌশল মাত্র। এতে বিধানসভা ভোটের আগে ভাবমূর্তি রক্ষা করা যাবে, আবার পরে ধৃতদের কাজেও লাগানো যাবে।
স্থানীয় মহলে দলের দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দলের একাংশের কথায়, কাজের সময়ে রাজা ও খোকনকে দরকার পড়ল। বিপদে দল তাঁদের চেনে না। এতে দলের ভাবমূর্তি কখনওই ভাল হতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy