Advertisement
E-Paper

এসি প্লান্টের জলে থইথই ভাষা ভবন

সমস্যা যে হতে পারে, তা আন্দাজ করেই গত মাসের শেষে চিঠি গিয়েছিল সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগে (সিপিডব্লিউডি)। কিন্তু সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফল ভুগতে হল জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০২:০৬
চলছে জল সরানোর কাজ। মঙ্গলবার। — নিজস্ব চিত্র

চলছে জল সরানোর কাজ। মঙ্গলবার। — নিজস্ব চিত্র

সমস্যা যে হতে পারে, তা আন্দাজ করেই গত মাসের শেষে চিঠি গিয়েছিল সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগে (সিপিডব্লিউডি)। কিন্তু সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফল ভুগতে হল জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনকে। মঙ্গলবার সকালে নিকাশি সমস্যার জেরে এসি প্লান্ট থেকে বেরনো জলে থইথই অবস্থা হল সেখানে।

জাতীয় গ্রন্থাগার সূত্রে খবর, ভাষা ভবনের একতলায় রয়েছে ১৪টি ভাষার বিভাগ। ওই সমস্ত ভাষার বই, পত্র-পত্রিকা, সংবাদপত্র সংরক্ষিত হয় সেখানে। এ দিন সকাল আটটা নাগাদ গ্রন্থাগারের কর্মীরা এসে দেখেন বিশাল ঘরটিতে গোড়ালি পর্যন্ত জমে জল। আর তাতে ভাসছে বিভিন্ন পত্রিকা, সংবাদপত্র। তাঁরা জানান, বাংলা, সংস্কৃত এবং অসমিয়া ভাষার বইপত্র থাকে যে অংশে, মেঝে ঢালু হওয়ায় সেখানে ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এসি প্ল্যান্ট থেকে জল বেরিয়েই এই বিপত্তি বলে জানান তাঁরা।

গ্রন্থাগার সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ময়লা জমে একতলায় এসি প্লান্টের জল বেরোনোর মুখগুলি আটকে গিয়েছিল। জাতীয় গ্রন্থাগারের জল এবং নিকাশি ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছে সিপিডব্লিউডি। গত মাসের ২৯ তারিখ গ্রন্থাগারের অফিস প্রধান শৈলেনকুমার পাল ওই বিভাগের কর্তাদের চিঠি দিয়ে অবিলম্বে নিকাশি ব্যবস্থার মেরামতের কথা জানান। এমনকী সমগ্র গ্রন্থাগারেরই পাইপলাইন এবং জল নিকাশি ব্যবস্থা যে শোচনীয়, তারও উল্লেখ ছিল চিঠিতে। কিন্তু সিপিডব্লিউডি থেকে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গ্রন্থাগার সূত্রে খবর, আগেও এ ভাবে প্লান্টের জল বেরোনোর মুখ বন্ধ হয়েছে, তবে সমস্যা এত বিশাল আকার নেয়নি।

জাতীয় গ্রন্থাগারের কর্মচারী সমিতির সম্পাদক শৈবাল চক্রবর্তীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাদের জানিয়েও সাড়া না মেলায়, তড়িঘড়ি গ্রন্থাগারের সাফাই কর্মীরা এবং অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা মিলেই জমা জল পরিষ্কারের কাজে নামেন। ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় ওই বিশাল বিভাগের জমা জল সেঁচে শৌচাগারের নালা দিয়ে বার করেন তাঁরা।

ওই সময়ে উপস্থিত ছিলেন ভাষাবিভাগের গ্রন্থাগার এবং তথ্য আধিকারিক ভি জয়রমন। তিনি বলেন, ‘‘কর্মীরা তত্ক্ষণাৎ জল বার না করলে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিই নষ্ট হয়ে যেত। এই সমস্যা নিয়ে উপর মহলে বহুবার জানানো হয়েছে। সমস্ত দায়িত্বই সিপিডব্লিউডির কর্তাদের। তবে তাদের বার বার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।’’

সিপিডব্লিউডি-র ওই বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য জানান, ঠিক কেন এই সমস্যা হয়েছে তা এখনও বুঝেই উঠতে পারেননি তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘গোটা বিভাগই কেন্দ্রীয় ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সারারাত ধরেই জল জমেছে বলে মনে হয়। আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই মেরামতির কাজে নজর দিচ্ছি।’’

Bhasha Bhaban AC plant Waterlogged
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy