স্বাস্থ্য দফতর। —ফাইল চিত্র।
অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত ছিল বিভাগীয় পদোন্নতির ইন্টারভিউ। অবশেষে সেটির দিনক্ষণ ঘোষণা করল স্বাস্থ্য দফতর। তবে প্রতিবাদের মুখে পড়ে ইন্টারভিউ নেওয়া হলেও পদোন্নতির প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন করা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের মধ্যে।
গত ৩১ জুলাই স্বাস্থ্য দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, মোট ১১২৭টি শূন্যপদ বিভাগীয় পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এর মধ্যে প্রফেসরের ২৮০টি, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের ৪২৮টি এবং সহকারী (অ্যাসিস্ট্যান্ট) প্রফেসরের ৪১৯টি পদ ফাঁকা রয়েছে। বিভিন্ন যোগ্যতামান অনুযায়ী অসংখ্য প্রার্থী আবেদন করেন। তাঁদের ইন্টারভিউ হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে। কিন্তু গত ১৯ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য স্থগিতাদেশ জারি করেন। তার পর থেকে প্রায় তিন মাস কেটে গেলেও বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও হেলদোল নেই বলেই অভিযোগ তুলেছিল বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন। সম্প্রতি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।
সূত্রের খবর, তার পরেই ১৭ নভেম্বর স্বাস্থ্য দফতর বিভাগীয় পদোন্নতির বিষয়ে পুনরায় ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। জানানো হয়েছে, আগামী ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দু’টি পর্বে চলবে ইন্টারভিউ। ৫৪টি বিষয়ের কোনটির ইন্টারভিউ কোন দিন, কোন পর্বে নেওয়া হবে— তা-ও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, ‘‘বছরে দু’বারের বদলে এখন দুই বছরে এক বার ইন্টারভিউ হচ্ছে। তাতেও এত দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদ করার পরে শেষমেশ পুনরায় বিজ্ঞপ্তি জারি করায় আমরা খুশি। কিন্তু প্রশ্ন হল, ইন্টারভিউয়ের পরে পদোন্নতির নিয়োগ সময়মতো হবে তো?’’ ইন্টারভিউয়ে স্বচ্ছতার প্রশ্নও তুলেছে দীর্ঘ দিন এ বিষয়ে আন্দোলন করা সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা শোচনীয়। সেখানে বিভাগীয় পদোন্নতির পরীক্ষায় ইন্টারভিউয়ে বেশি নম্বর রাখা হয়েছে। সেই জায়গায় পক্ষপাতিত্বের সংশয় রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy