সাপ্তাহিক ছুটির দিন শহরবাসীর মনোরঞ্জনে গান-বাজনার সঙ্গে রসনাতৃপ্তিরও ব্যবস্থা হবে কলকাতায়। ডিসেম্বরে পার্ক স্ট্রিটে ক্রিসমাস উৎসবের সূচনা করে এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী শনিবার, পয়লা বৈশাখ থেকে বিবাদী বাগে লালদিঘির পাড়ে শুরু হচ্ছে সেই সাপ্তাহিক উৎসব। সাংস্কৃতিক জগতের খ্যাতনামাদের নিয়ে বসবে জলসার আসর। মঞ্চের চারপাশে অস্থায়ী স্টলে পাওয়া যাবে নামী-দামি দোকানের বিরিয়ানি, চাউমিন, কাটলেট, ফিশ ফ্রাই থেকে জলভরা তালশাঁস, রসমালাই-সহ মিষ্টির নানা পদও। উৎসবের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দেখো রে’। কলকাতা পুরসভা, পর্যটন এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর যৌথ উদ্যোগে ওই উৎসবের ব্যবস্থা করছে।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, মহাকরণে নিয়মিত যাতায়াতের ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রী লালদিঘির সৌন্দর্যায়ন নিয়ে বারবার বলতেন। জায়গাটা কী ভাবে দ্রষ্টব্য হিসেবে গড়া যায়, তা নিয়ে ভাবতেন। তাঁর সেই ভাবনা এ বার বাস্তবায়িত হতে চলেছে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। মেয়র শোভনবাবু শুক্রবার দিল্লি যাওয়ার আগে ওই জায়গা ঘুরে দেখেন। সৌন্দর্যানের রূপরেখাও স্থির করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুর অফিসারদের। শনিবার পুর সচিবের নেতৃত্বে বিল্ডিং, হেরিটেজ এবং আলো দফতরের ডিজি-রা ওই এলাকায় কোথায় কী হবে, তার ছকও কষে ফেলেছেন।
কী হবে সেখানে?
মেয়র জানান, জিপিও-র উল্টো দিকে লালদিঘির যে অংশ রয়েছে, সেখানে ওই উৎসব হবে। থাকবে একটা মঞ্চ। গোটা চল্লিশেক অস্থায়ী স্টল হবে। সপ্তাহে শনি ও রবি এই দু’দিন সেখানে গান-বাজনার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার
ব্যবস্থা হবে।
লালদিঘির চারপাশে একাধিক হেরিটেজ ভবন। মনোরঞ্জনের ওই ব্যবস্থায় হেরিটেজ-বিধি বিঘ্নিত হবে না তো? শোভনবাবুর জবাব, ‘‘সব দেখেশুনেই করা হচ্ছে। হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের থেকে দূরে।’’ সেখানে কোনও স্থায়ী নির্মাণ হবে না। উনুনও জ্বলবে না। খাবার নিয়ে এসে বিক্রি করা হবে। বড়জোর একটা মাইক্রোওয়েভ থাকবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল পাঁচটায় ওই উৎসবের উদ্বোধন হবে। লালদিঘির চারপাশে গাছ আলোয় সাজবে। জলে থাকা ৬টি নৌকা আলোর ফোয়ারায় জ্বলে উঠবে। এক সময়ে ঠিক ছিল, ভিক্টোরিয়ার হলের সামনে ওই উৎসব হবে। পরে ট্র্যাফিক সমস্যা ও প্রতিরক্ষা দফতরের আপত্তিতে তা বাতিল করে সরকার। নতুন জায়গা হিসেবে বাছা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের লালদিঘির পাড়কেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy