ঘরের সামনে রোগীর লম্বা লাইন। পাশ দিয়ে বার কয়েক হাঁটাচলা করল এক ব্যক্তি। অপেক্ষাকৃত ফাঁকা একটি ঘরে ঢুকে পকেটে হাত দিয়ে বেরিয়েও গেল। ফের ঢুকে কালো রঙের বড় ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে সোজা হাজির হল রাস্তায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে এসএসকেএমের এক ছাত্র-চিকিৎসকের ম্যাকবুক এবং মোবাইল চুরির অভিযোগে দীনেশ অগ্রবাল নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে মঙ্গলবার ওয়াটারলু স্ট্রিট থেকে ধরা হয় নগেন্দ্র সিংহ নামে এক ‘রিসিভারকে’। তার থেকে মিলেছে ওই চিকিৎসকের ম্যাকবুক, মোবাইল এবং ১১টি ল্যাপটপ। তদন্তকারীরা জেনেছেন, চুরি করা জিনিস নগেন্দ্রের কাছে বিক্রি করত দীনেশ। বুধবার দু’জনকে আদালতে তোলা হলে নগেন্দ্র জামিন পায়। দীনেশের পুলিশি হেফাজত হয়।
এক অফিসার জানান, দীনেশ ২৩টির মতো চুরিতে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে শহরের বড় হাসপাতালে চুরির অভিযোগ রয়েছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চুরির ঘটনাতেও জড়িত সে। ২৫ জুন এসএসকেএমের ছাত্র-চিকিৎসক বৈভব রাজের ম্যাকবুক ও ব্যাগ চুরির ঘটনাটি ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়। ফুটেজ দেখেই তদন্তকারীরা দীনেশকে শনাক্ত করেন।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, রাজারহাটে ফ্ল্যাট ছাড়াও সাতগাছিতে দীনেশের ঘর আছে। সেখানে চিকিৎসকেরা রোগী দেখেন। সচ্ছল এমন এক জন বারবার চুরিতে জড়িয়ে পড়ায় অবাক পুলিশও। দীনেশের মানসিক সমস্যা রয়েছে কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ওই যুবক প্রথমে কিছু স্বীকার করতে চায়নি। কিন্তু রিসিভারকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতেই দোষ কবুল করে।’’