ভিতরে গান বাজছে, শোনা যাচ্ছিল বাইরে থেকেও। গ্রিলের গেটে তালা নেই। ভেতরের দরজাও ঠেলতেই খুলে গেল। মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে বান্টি ঘোষাল (২২)। গলায় গামছার ফাঁস। দু’পাশে ছড়ানো হাত। বৃহস্পতিবার ঠাকুরপুকুরের বাচারপাড়ার বাড়িতে এই অবস্থাতেই দিদির মৃতদেহ দেখতে পেলেন ভাই। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, এটি খুন।
প্রতি বছর ভাইকে রাখি পরাতে বাপের বাড়ি আসতেন বান্টি। এ বার আসা তো দূরের কথা, দিদি আগের দিন রাত থেকেই ফোন পর্যন্ত ধরছে না! মন মানেনি ভাইয়ের। বৃহস্পতিবার দুপুরে চলে আসেন দিদির শ্বশুরবাড়িতে। ভেবেছিলেন চমকে যাবেন দিদি। কিন্তু তাঁর জন্যই যে এমন মর্মান্তিক
চমক অপেক্ষা করছে, ভাবতেও পারেননি ভাই।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মাসখানেক আগে ঠাকুরপুকুরের জায়গির ঘাট রোডে, বাচারপাড়ার বাড়িতে ভাড়ায় থাকতে শুরু করেন বান্টি ও শুভেন্দু। পাঁচ বছর আগে শুভেন্দুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বান্টির। বছর চারেকের একটি ছেলে রয়েছে তাঁদের। শুভেন্দুর ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা ছিল, বান্টি ছিলেন বিউটিশিয়ান। তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত বলে জেনেছে পুলিশ। এ দিন ঘটনার পরে শুভেন্দু ও তাঁদের ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। রাত পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy