প্রতীকী ছবি।
নির্মীয়মাণ আবাসনের ষোলোতলা থেকে লিফটের গর্তে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার সকালে, বেহালার রাজা রামমোহন রায় রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শাহজাহান শেখ (৩৫)। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের সুতিতে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বছর চারেক ধরে ওই আবাসনের নির্মাণকাজ চলছে। এ দিন সকাল সাতটা থেকে ওই আবাসনের ষোলোতলায় কাজ করছিলেন শাহজাহান। তদন্তকারীরা জানান, সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ষোলোতলায় শাহজাহানের সঙ্গে শেষ কথা হয় তাঁর এক সহকর্মীর। তিনি নির্মাণ সামগ্রী আনতে নীচে গিয়েছিলেন। কিছু ক্ষণ পরে উপরে এসে দেখেন, শাহজাহান নেই। খোঁজ শুরু হয় তাঁর। শেষমেশ প্রায় এক ঘণ্টা পরে নীচের তলায় নির্মীয়মাণ লিফটের গর্ত থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ শাহজাহানকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত মৃতের পরিবার কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, আবাসনটির নির্মাণকাজ চলছে। লিফট তৈরি হয়নি। কাজ করার সময়ে আচমকাই ষোলোতলায় লিফটের কাছাকাছি চলে যাওয়ায় গর্ত দিয়ে পড়ে যান শাহজাহান। তাঁর মাথা-সহ শরীরের একাধিক অংশে আঘাত লাগে।
এই ঘটনার পরেই বহুতল আবাসনে নির্মাণ চলাকালীন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগেও একাধিক বার এ রকম দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত সেপ্টেম্বরে এন্টালিতে নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। অভিযোগ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্মাণকারীরা প্রভাবশালীর তত্ত্ব খাটিয়ে পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করেন। এর পরেই মৃতের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে আপস মীমাংসা করে নেন। অনেকেরই প্রশ্ন, পুলিশ নির্মাণকারী বা আবাসনের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না কেন? লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই অভিযোগ মিথ্যা। পুলিশ যে কোনও ঘটনার নিরপেক্ষ ভাবেই তদন্ত করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy