একবালপুরের একটি গেস্ট হাউস থেকে রায়দিঘির বাসিন্দা এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল জুলাই মাসে। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তাঁর সঙ্গীকে অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার মোমিনপুর থেকে মহারাজ হালদার নামে ওই যুবককে ধরা হয়। তার বাড়িও রায়দিঘিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, রায়দিঘির বাড়িতে ওই যুবককে পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি পুলিশ খবর পায়, মথুরাপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে মহারাজ। শুক্রবার মথুরাপুরে গিয়ে মহারাজকে দেখতে পেয়েও পুলিশ তাকে না ধরে পিছু নিতে শুরু করে। মথুরাপুর থেকে ট্রেনে এসে প্রথমে বালিগঞ্জে নামে ওই যুবক। সেখান থেকে ট্রেন বদল করে মাঝেরহাট যায়। সেখান থেকে মোমিনপুরের বাস ধরে মহারাজ। পুরো পথটাই তাকে ধাওয়া করে সাদা পোশাকের পুলিশের একটি দল। মোমিনপুরে বাস থেকে নামতেই ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজেদের দম্পতি পরিচয় দিয়ে গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন ওই তরুণী সারথি হালদার এবং মহারাজ। বিকেলে খাবার আনার নাম করে বেরিয়ে যায় মহারাজ। রাত পর্যন্ত সে না ফেরায় গেস্ট হাউসের কর্মচারীরা গিয়ে দেখেন, তাদের ঘরের দরজা ভেজানো। জানলা দিয়ে দেখা যায়, খাটে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে সারথির দেহ।
পুলিশ জেনেছে, মহারাজ আদতে সারথির স্বামীর বন্ধু। কয়েক বছর ধরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ইদানীং মহারাজকে এড়িয়ে চলছিলেন সারথি। পুলিশের অনুমান, তার প্রতিশোধ নিতেই সারথিকে খুন করে মহারাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy