Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

গাছে বাঁধা যুবকের দেহ, সন্দেহ গণপিটুনি

গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের অচৈতন্য দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। 

শঙ্কর মণ্ডল

শঙ্কর মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০১:৪২
Share: Save:

গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের অচৈতন্য দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল।

রবিবার শঙ্কর মণ্ডল (২৫) নামে ওই যুবককে কালীঘাট থানার কাছেই রাস্তার উপরে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে শঙ্করকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শঙ্কর গণপিটুনির ‘শিকার’ হয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। তবে লালবাজার দাবি করেছে, এমন কোনও অভিযোগ যুবকের পরিবারের তরফে দায়ের করা হয়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, ওই যুবককে মারধর করা হয়েছিল। তবে তা ‘গণপিটুনি’ কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যুবকের মৃত্যুর কারণ ময়না-তদন্তের পরেই জানা যাবে বলে লালবাজার জানিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে কয়েক জন যুবকের মধ্যে ধস্তাধস্তির ছবিও পেয়েছে পুলিশ।

দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ দমদমের বসাকবাগানের চাষিপাড়ায় গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় এক যুবকের। চাষিপাড়ার অনেকেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। হাজরার সাহেববাগান বস্তির বাসিন্দা শঙ্করের ক্ষেত্রে অবশ্য রবিবার তেমন কোনও প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি। কালীঘাট থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে ওই যুবক মাদকাসক্ত ছিলেন। তাঁকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আগেও এক বার কালীঘাট থানা গ্রেফতার করেছিল।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিন সকালে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড ও গুরুপদ হালদার রোডের মোড়ে তাঁর ছেলের অচৈতন্য দেহ একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পান শঙ্করের মা মঙ্গলাদেবী। পরিবার সূত্রে খবর, শঙ্কর শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পরে আর ফেরেননি। তাঁর দিদি সোনালি দাসের অভিযোগ, ‘‘শনিবার চার জন যুবক আমাদের বাড়িতে এসে দু’ বার হুমকি দিয়েছিল। ওদের দাবি ছিল, আমার ভাই নাকি মোবাইল চুরি করেছে। মোবাইল ফেরত না পেলে ওরা ভাইকে খুন করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।’’ মঙ্গলাদেবীর অভিযোগ, ‘‘স্রেফ মোবাইল চুরির অভিযোগে ওরা আমার ছেলেকে খুন করেছে।’’

ওই চার যুবক কারা?

পুলিশ সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। পুলিশ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পরে জানতে পেরেছে শঙ্করকে মারধর করেছে স্থানীয় লোকজনই।

যে গাছে শঙ্করকে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়, সেটির পাশেই একটি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘‘শনিবার রাতে আমার ডিউটি ছিল। গভীর রাতে কয়েক জনের চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসি। কিন্তু কাছাকাছি কাউকে দেখিনি। রাস্তার উল্টো

দিকে গলির ভিতর থেকে কয়েক

জন যুবকের গলার আওয়াজ আসছিল।’’ ওই নিরাপত্তারক্ষীই রবিবার সকালে চা কিনতে বেরিয়ে গাছের সঙ্গে শঙ্করকে বাঁধা অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kalighat Lynching Kolkata Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE