প্রতীকী ছবি।
গোটা দুপুর ছেলের সাড়াশব্দ নেই। সন্দেহ হওয়ায় পাশের ফ্ল্যাটে গিয়ে মা দরজা ঠেলতেই তা খুলে যায়। ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন, বিছানায় পড়ে রয়েছে ছেলের নিথর দেহ। তাঁর মাথা ও গলায় গভীর ক্ষত। ঘর ভেসে যাচ্ছে রক্তে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই অবস্থাতেই যাদবপুর থানায় ফোন করে তাঁর ছেলে খুন হয়েছেন বলে জানান বিজয়গড়ের বাসিন্দা মলিনা কোলে। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে এম আর বাঙুরে পাঠায়। সেখানেই ময়না-তদন্ত হওয়ার কথা। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। যাদবপুর থানার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরাও রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওই ঘরে একটি বঁটি মিলেছে। পুলিশের ধারণা, বঁটির ভোঁতা দিক দিয়ে বারংবার আঘাত করা হয়েছিল ওই যুবককে।
বছর ছাব্বিশের ওই নিহতের নাম সুরজিৎ কোলে। বিজয়গড় এলাকার ওই বাড়ির একতলার দু’টি ফ্ল্যাট নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি থাকতেন। বাবা গোপাল কোলের মুদিয়ালিতে একটি মোমোর দোকান রয়েছে। সেই দোকানেই কাজ করতেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার তালদির বাসিন্দা সন্দীপ সরকার। তাঁকেই এখন পুলিশের সন্দেহ। কারণ, ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। বেশ কিছু গয়না ও অন্যান্য সামগ্রী ফ্ল্যাট থেকে খোয়া গিয়েছে বলে পুলিশে জানিয়েছে নিহতের পরিবার।
তদন্তকারীরা জানান, জেরায় সুরজিতের মা মলিনাদেবী জানিয়েছেন, সুরজিৎ ও সন্দীপ একই বয়সি। সন্দীপকে তিনি ছেলের মতোই ভালবাসতেন। এ দিন সুরজিৎ ও সন্দীপ একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান। রোজকার মতো পাশের ফ্ল্যাটে তাঁরা শুয়ে পড়ার পরে মলিনাদেবীও ঘুমিয়ে পড়েন। তবে অন্যান্য দিন দুপুরে সুরজিৎদের ফ্ল্যাট থেকে আওয়াজ পাওয়া গেলেও এ দিন ছিল সব শান্ত। সন্দেহ হওয়ায় ঘরে গিয়ে মলিনাদেবী ছেলের দেহ দেখতে পান।
সন্দীপের ছবি নিয়ে থানায় থানায় খোঁজ শুরু করেছে যাদবপুর থানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy