নিয়ম মতো দমকলের ‘নো অবজেকশন’ পাওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগে বড় জোড় এক মাস। কিন্তু অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে আবেদন করে মাসের পর মাস পার হয়ে গেলেও তা মেলে না। এমনকী, এই গড়িমসির পিছনে দমকলের ‘স্বার্থের খেলা’ কাজ করে বলেও অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। তেমনই এক ব্যক্তি মতিলাল নেহরু রোডের বাসিন্দা সুখেন্দু ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, ২০১৪ সালের জুন মাসে নো অবজেকশনের আবেদন করলেও ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দফতর থেকে কোনও ‘সাড়া’ মেলেনি।
দমকল সূত্রে খবর, কোনও বাড়ির নো অবজকেশন শংসাপত্র পেতে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়। বাড়ির সব নথি জমা দিতে হয় দমকল দফতরে। অফিসারেরা তা খতিয়ে দেখে ১৫ দিনের মধ্যে ডেকে পাঠালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে বেশ কিছু টাকা জমা দিতে হয় আবেদনকারীকে। তখন দমকল থেকে একটি অস্থায়ী শংসাপত্র দেওয়া হয়। এর পরে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। যেমন, বাড়ির ছাদে জলাধার-সহ অগ্নি-সুরক্ষার নানা ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরে বাড়িটি পরিদর্শনে যায় দমকল অফিসারেরা। শর্তগুলি মানা হলে সে দিনই মেলে নো অবজেকশন। কিন্তু সুখেন্দুবাবুর অভিযোগ, সব নথি জমা দেওয়ার প্রায় ১১ মাস পরেও তা পাননি তিনি।
সুখেন্দুবাবুর অভিযোগ, নিজের বাড়িকে গেস্ট হাউস বানাতে ২০১৪-র জুনে তিনি প্রথম কলকাতা পুরসভায় যান। পুরসভা জানায়, এ জন্য প্রয়োজন দমকলের নো অবজেকশন। প্রয়েজনীয় নথি নিয়ে দমকল দফতরে গেলে আরও কিছু নতুন নথি চান কয়েক জন অফিসার। জমা দেওয়া হয় সেগুলিও। সুখেন্দুবাবুর দাবি, এর পরেও নো অবজেকশন না মেলায় গত অক্টোবরে দমকলের ডিজি-র সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। তবুও সুরাহা না হওয়ায় ফের মঙ্গলবার দমকল দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। অভিযোগে তাঁর দাবি, প্রথম আবেদনপত্রটি হারিয়ে গিয়েছে বলে দমকল তাঁকে জানালে তিনি আর একটি আবেদন করেন। তাতেও মেলেনি নো-অবজেকশন।
এ দিকে, এত সময় পেরিয়ে গেলেও ‘নো অবজেকশন’ না মেলায় সরকারি দফতরের গড়িমসি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে দমকলের ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “সত্যিই ওই ব্যক্তির আবেদনপত্র হারিয়ে গিয়ে থাকলে তা দুর্ভাগ্যজনক। কেন তিনি নো অবজেকশন শংসাপত্র পেলেন না, খতিয়ে দেখা হবে। দফতরের কারও দোষ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy