Advertisement
১৮ মে ২০২৪
নজরে ভোট: ই এম বাইপাস

জলাভূমি ‘দখল’ করা বাড়ি আইনি হল মমতার স্পর্শে

কলকাতা পুরভোটে দলকে জেতাতে ফের ‘কল্পতরু’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে জলাভূমি ‘দখল’ করে বসে থাকা প্রায় ১৫-২০ হাজার ‘বেআইনি’ ঘরবাড়ি আজ বৃহস্পতিবার থেকে আইনি হয়ে যাচ্ছে। বুধবার মুকুন্দপুরে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের নতুন ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১৫
Share: Save:

কলকাতা পুরভোটে দলকে জেতাতে ফের ‘কল্পতরু’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে জলাভূমি ‘দখল’ করে বসে থাকা প্রায় ১৫-২০ হাজার ‘বেআইনি’ ঘরবাড়ি আজ বৃহস্পতিবার থেকে আইনি হয়ে যাচ্ছে। বুধবার মুকুন্দপুরে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের নতুন ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে, বাইপাসের ধারে মাদুরদহ, কালিকাপুর, মুকুন্দপুর এবং ভগবানপুর মৌজার প্রায় হাজার তিরিশেক মানুষের সমর্থন এ বার তৃণমূলের পক্ষেই যাবে বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যায়, বিজেপি-র বাড়বাড়ন্ত রুখতে এটা মুখ্যমন্ত্রীর ‘মাস্টার স্ট্রোক।’

প্রোমোটার ও পুর-নাগরিকদের নজর তাঁর দলের দিকে ঘোরাতে ইতিমধ্যেই বিল্ডিং নিয়মে ছাড়, বেআইনি বাড়িকে আইনি করার প্রথায় সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য সরকার। একতলা ও দোতলা বাড়ির ক্ষেত্রে ১৫ ও ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত নির্মাণে পুরসভার কোনও অনুমতি লাগবে না। তা ছাড়াও পুর-সম্পত্তিকর বকেয়া রয়েছে যাঁদের, আবেদন করলে পুরবোর্ড তাঁদের পুরকরের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিতে পারবে। ওই সব সুবিধার জন্য পুর আইনের বেশ কিছু সংশোধনও করে রাজ্য সরকার। এ বার জলাভূমি ‘দখল’ করে থাকা ১৫-২০ হাজার বেআইনি বাড়িও আইনি স্বীকৃতি পেয়ে গেল। যা শুনে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “সামনে পুরভোট। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণা।” যদিও ওই ঘোষণায় খুশি রাহুলবাবুরা। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “আমাদের ভয়েই তৃণমূল সরকার ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, মাদুরদহ, কালিকাপুর, মুকুন্দপুরের ওই জমিগুলি জলাভূমি হিসেবে মৎস্য দফতরের আওতায় ছিল। সেখানে কোনও ঘরবাড়ি না করাই সরকারি নিয়ম। যদিও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই দীর্ঘকাল থেকে সেখানে ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে। প্রশাসনও কোনও বাবস্থা নেয়নি। তবে ঘরবাড়ি করলেও তাঁরা মিউটেশন পাননি। মেলেনি পুর পরিষেবাও।

মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ দিন ওই সব ঘরবাড়িকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, “পিছনেই মাদুরদহ বলে একটি এলাকা আছে। সেখানে ১৫ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি করে থাকেন। ওই জমিটা সরকারের, মৎস্য দফতরের। কিন্তু সেখানে বসবাসকারীরা বাড়িঘরের মিউটেশন করতে পারতেন না, কোনও নাগরিক পরিষেবাও পেতেন না। আমি আজই ফাইল সই করে ছেড়েছি। এ বার থেকে তাঁরা সে সব সুবিধা পাবেন। ওঁরা এখন স্বীকৃত।”

কী ধরনের পুর-পরিষেবা তাঁরা পাবেন, জানতে চাইলে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকেই তাঁরা স্থানীয় বিএলআরও অফিসে মিউটেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর কলকাতা পুরসভায় পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থার জন্য আবেদনও করতে পারবেন।” অর্থাৎ কলকাতার নাগরিকেরা যে সুবিধা পেয়ে থাকেন, এ বার থেকেও তাঁদের কাছেও সেই সুবিধা পৌঁছে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

municipal vote mamata minicipality vote
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE