দৃশ্য ১: বুলেভার্ডের ঘেরা জাল কাটা। ভেঙেছে সিমেন্টের বাঁধানো নানা অংশও। বুলেভার্ডের ভিতরে বড় বড় গাছের পাশাপাশি ছোট বাহারি পাতার গাছও রয়েছে। ডালপালা ছেঁটে সুন্দর করা হয়েছে। কোথাও লাগানো হয়েছে একাধিক গোলাপ গাছও। কিন্তু তার পাশে দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে রয়েছে শুকনো ডাল। ঘাস বড় হয়েছে। কোথাও আবার বড় বড় গাছগুলিকে জড়িয়ে লতা উঠে জঙ্গলের আকার নিয়েছে।
দৃশ্য ২: গাছগাছালির মাঝেই আছে নানা মাপের শিল্প, কারুকার্য, নানা আকারের মূর্তি। ছিল বসার বাঁধানো জায়গা। বসার জায়গায় ধুলো জমেছে। মূর্তি, শিল্পকর্মগুলি নোংরা হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার তাদের জড়িয়ে উঠেছে লতাপাতার জঙ্গল। পড়ে রয়েছে জঞ্জাল, প্লাস্টিক, গাছের কাটা শুকনো ডালপালা।
গোলপার্ক থেকে টালিগঞ্জ থানার উল্টো দিক পর্যন্ত সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের উপরে বুলেভার্ডের বেশ কিছু অংশের দৃশ্য এই রকমই। বুলেভার্ডগুলি অনেক জায়গায় জাল দিয়ে ঘেরা ছিল। যাতে বাইরে থেকে কেউ জঞ্জাল ফেলতে না পারেন। কিন্তু অনেক বুলেভার্ডেরই ঘেরা জাল কেটে গিয়েছে। চার দিকের বাঁধানো অংশও ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। একটু দূরে সুলভ শৌচালয় থাকলেও, সাধারণত পথচলতি মানুষ কাটা জালের ফাঁক দিয়ে ঢুকে বুলেভার্ডের ভিতরে প্রাকৃতিক কাজ সারছেন। ফলে নোংরা হচ্ছে বুলেভাডর্র্।
সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের উপরে ১৩টির মতো বুলেভার্ড রয়েছে। তার মধ্যে চারটির দায়িত্ব রয়েছে কলকাতা পুরসভার হাতে। কয়েকটি বন দফতরের নগর বিনোদন বনায়ন বিভাগের এবং কয়েকটির দায়িত্বে রয়েছে বেসরকারি সংস্থা। অভিযোগ সমন্বয়ের অভাবে বুলেভাডর্গুলির ঠিকমতো দেখভাল হয় না। বেশি খারাপ অবস্থা বন দফতরের বুলেভার্ডগুলির। যদিও বন দফতর সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের থেকে বরাদ্দ করা অর্থে তারা এই কাজগুলি করেন। এ বছরে শহরের অন্য জায়গার পাশাপাশি সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের বুলেভার্ডের কাজের পরিকল্পনাও হয়েছে। সরকারের কাছ থেকে টাকা পেলেই আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, ১৩টি বুলেভার্ডের মধ্যে এই মুহূর্তে চারটি পুরসভার হাতে। লেক কালীবাড়ির সামনের বুলেভার্ড কালীবাড়ির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “শুধু আমাদেরই নয়, বন দফতরের হাতে থাকা কয়েকটি বুলেভার্ডের সৌর্ন্দযায়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ আমরা করেছি। অন্য বুলেভার্ডের রক্ষণাবেক্ষণ যদি বন দফতর করতে না পারে, তা হলে আমরা কাজ করতে ইচ্ছুক।”