Advertisement
E-Paper

পিছু ছাড়ল তাপপ্রবাহ, তবু বৃষ্টিভাগ্যে এখনও কাঁটা

আকাশে মেঘ জমলে বা কুলকুল করে ঘাম হলেই বৃষ্টি হবে! গত দু’দিনের আবহাওয়া অনেক বছরের সযত্ন-লালিত এই ধারণাটা ক্রমেই বদলে দিচ্ছে। এ বছর মার্চ থেকেই শুকনো গরমের বাড়বাড়ন্ত ছিল কলকাতায়। গত মঙ্গলবার থেকে দোসর হয় তাপপ্রবাহও। টানা পাঁচ দিন সেই পরিস্থিতি চলার পরে রবিবার তাপমাত্রা কিছুটা নামে। সোমবার তা কমে ৩৭.৫ ডিগ্রিতে এসে ঠেকেছে। তবে শনিবার থেকেই ঘামের অস্বস্তি বেড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৩২
মাথা বাঁচাতে। সোমবার, নিউ মার্কেটে।  —নিজস্ব চিত্র।

মাথা বাঁচাতে। সোমবার, নিউ মার্কেটে। —নিজস্ব চিত্র।

আকাশে মেঘ জমলে বা কুলকুল করে ঘাম হলেই বৃষ্টি হবে! গত দু’দিনের আবহাওয়া অনেক বছরের সযত্ন-লালিত এই ধারণাটা ক্রমেই বদলে দিচ্ছে।

এ বছর মার্চ থেকেই শুকনো গরমের বাড়বাড়ন্ত ছিল কলকাতায়। গত মঙ্গলবার থেকে দোসর হয় তাপপ্রবাহও। টানা পাঁচ দিন সেই পরিস্থিতি চলার পরে রবিবার তাপমাত্রা কিছুটা নামে। সোমবার তা কমে ৩৭.৫ ডিগ্রিতে এসে ঠেকেছে। তবে শনিবার থেকেই ঘামের অস্বস্তি বেড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শনিবার থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হওয়ায় জোলো হাওয়া বইতে শুরু করে। বাড়তে থাকে আর্দ্রতাও। সন্ধ্যার পরে আকাশে মেঘের দেখাও মিলতে থাকে। কিন্তু চাতকের দৃষ্টি নিয়ে বসে থাকা কলকাতাবাসীর কপালে বৃষ্টির ফোঁটা মেলেনি।

আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, গরমকালে পরিমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঢুকলে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমনটা হচ্ছে না। হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় নিম্নচাপ অক্ষরেখা নেই। ফলে জলীয় বাষ্প টেনে এনে মেঘ তৈরি হচ্ছে না। জলীয় বাষ্প ঢোকার পরে স্থানীয় ভাবে মেঘ তৈরি হলেও পরিমণ্ডলের উপরের স্তরে বায়ুপ্রবাহের ফলে অন্য দিকে সরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কবে বৃষ্টি হবে, তা-ও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না আবহবিদেরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, “বাড়তি আর্দ্রতায় বরং অস্বস্তিই বাড়বে।”

বৃষ্টির সুখবর শোনাতে না পারলেও সোমবারই কলকাতা থেকে তাপপ্রবাহের সতর্কতা তুলে নিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত সোমবার থেকে টানা এই সতর্কতা দিচ্ছিল তারা। হাওয়া অফিসের ইতিহাসে টানা সাত দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেওয়ার নজির নেই বলেই জানান আবহবিজ্ঞানীরা। “টানা পাঁচ দিন তাপপ্রবাহ চলার নজিরও তো নেই”, মন্তব্য হাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞানীর।

heatwave weather
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy