এই অবস্থা লেকটাউন সার্ভিস রোডের। —নিজস্ব চিত্র।
লেকটাউনে সার্ভিস রোডের দু’ধারে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। পথচারীরা বাধ্য হয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটেন। অভিযোগ, এই রাস্তায় বেপরোয়া যান চলাচলও করে। ফলে একাধিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
ভিআইপি রোডের চাপ কমাতে এবং লেকটাউন, বাঙুর, শ্রীভূমির বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য লেকটাউন সার্ভিস রোডটি তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, রাস্তাটি কার্যত গাড়ি পার্কিং-এর জায়গায় পরিণত হয়েছে। চলে বেপরোয়া যান চলাচলও। গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণের জন্যও রাস্তাটির বহুল ব্যবহার হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সার্ভিস রোডের আলোও জোরালো নয়। ফলে রাতে দুর্ঘটনা ঘটছে। এই নিয়ে কয়েক বার পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
মাস কয়েক আগে শ্রীভূমিতে সার্ভিস রোডে রাতে গাড়ি চালানো শেখানোর সময়ে গাড়ির ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু হয়। এর কয়েক দিন পরেই লেকটাউন সার্ভিস রোডে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুই যুবক গাছে ধাক্কা মারেন। অল্পের জন্য বেঁচে যান বেশ কয়েক জন পথচারী। লেকটাউন, বাঙুর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগে সন্ধ্যায় এই রাস্তা দিয়ে তাঁরা হাঁটতেন। পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনার পরে আর তাঁরা হাঁটেন না।
লেকটাউনের এ ব্লকের এক বাসিন্দা আশিস দাস বলেন, “শুধু ভোরেই নয়। সন্ধ্যায়ও গাড়ি চালানো শেখানো হয়। রাস্তার পাশে সার দিয়ে গাড়ি পার্ক করা থাকে। তাই রাস্তার মাঝ দিয়েই হাঁটতে হয়। গাড়িগুলি যেন গায়ে উঠে আসে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনা ঘটলে কয়েক দিন পুলিশি নজরদারি চলে। তার পরে যে-কে-সেই। তা ছাড়া সার্ভিস রোডের ধারে প্রচুর দোকান হওয়ায় যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং-এর প্রবণতা বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অলকেশ বসু বলেন, “গাড়িগুলি এমন ভাবে রাখা থাকে যে গাড়ি চালিয়ে পাড়ায় ঢোকার জায়গাও থাকে না। ফলে ঘুরপথে বাড়ি ঢুকতে হয়।”
সার্ভিস রোডের বেহাল অবস্থার কথা জানে পুলিশ প্রশাসনও। বিধাননগর কমিশনারেটের এসিপি (ট্রাফিক) সন্তোষ মণ্ডল বলেন, “আগে যাঁরা এই রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা কিছু পদক্ষেপ করেছিলেন। আমি নতুন দায়িত্বে এসেছি। সেগুলো ঠিকমতো পালন হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। ওই রাস্তায় টহলদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।” দক্ষিণ দমদম পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওই রাস্তার এক ধারে ঝিলের সৌন্দর্যায়ন হচ্ছে। পার্কিং-এর জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy