Advertisement
০৩ মে ২০২৪

ফের নিজের ফ্ল্যাটে বৃদ্ধা খুন, এ বার লেক অঞ্চলে

গার্ডেনরিচের পরে এ বার লেক এলাকা। আবার বন্ধ ফ্ল্যাটে পাওয়া গেল এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ। সোমবার সন্ধ্যায়, লেক থানা এলাকার যতীন দাস রোডের একটি আবাসনে। পুলিশ জানায়, নিহত বৃদ্ধার নাম কমলাদেবী মিন্ত্রি (৭৬)। ভোঁতা বস্তু মাথায় মেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচে জহুরা খাতুন নামে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৪
Share: Save:

গার্ডেনরিচের পরে এ বার লেক এলাকা।

আবার বন্ধ ফ্ল্যাটে পাওয়া গেল এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ। সোমবার সন্ধ্যায়, লেক থানা এলাকার যতীন দাস রোডের একটি আবাসনে। পুলিশ জানায়, নিহত বৃদ্ধার নাম কমলাদেবী মিন্ত্রি (৭৬)। ভোঁতা বস্তু মাথায় মেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচে জহুরা খাতুন নামে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই হত্যারহস্য ভেদ হতে না-হতেই মহানগরে ফের বৃদ্ধা খুনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ দিন ঠিক কী হয়েছে?

পুলিশ জানাচ্ছে, ছয় মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কমলাদেবী বহুতলের ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। স্বামী মারা গিয়েছেন বছর দশেক আগে। তাঁর চার বিবাহিতা মেয়ে এবং অন্য কিছু ঘনিষ্ঠ আত্মীয় কলকাতাতেই থাকেন। রবিবার বিকেলেও এক আত্মীয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন তিনি। ওই আত্মীয়ের সঙ্গে তাঁর অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃদ্ধাকে ডাকতে গিয়ে ওই আত্মীয় দেখেন, কমলাদেবীর ফ্ল্যাটের দরজায় তালা ঝুলছে। কমলাদেবী বেরিয়ে গিয়েছেন ভেবে ওই আত্মীয় ফিরে যান।

কিন্তু যে-বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল, সেখানে কমলাদেবীকে দেখতে না-পেয়ে ওই আত্মীয়ের সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করা হয় বৃদ্ধার মোবাইলে। কিন্তু সেটি বন্ধ ছিল। গভীর রাত পর্যন্ত বারবার চেষ্টা করেও আত্মীয়েরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ বৃদ্ধার মেয়েরা এবং অন্যান্য আত্মীয় যতীন দাস রোডের ফ্ল্যাটে গিয়ে নকল চাবি দিয়ে দরজা খুলে দেখেন, কমলাদেবী বিছানার সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। ঘরে রক্তমাখা পায়ের কিছু ছাপ রয়েছে।

সোমবার রাতেই লেক থানার পুলিশ, লালবাজারের গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। যান ডিসি (এসইডি) গৌরব শর্মাও। কুকুর দিয়ে সারা ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ কোনও ভোঁতা বস্তু দিয়ে মাথায় মেরে খুনের কথা বললেও কে বা কারা সেটা করল, তা জানতে পারেনি। বৃদ্ধার মেয়ে এবং অন্য আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ফোনে বৃদ্ধার সাড়া না-পেয়ে তাঁর মেয়েরা বা অন্য আত্মীয়স্বজন কেন রবিবারেই বা সোমবার সারা দিনে খোঁজ নিতে যাননি, সেটা তাঁদের ভাবাচ্ছে বলে জানান তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE