হাওড়া স্টেশন চত্বরে বিপজ্জনক ওঠানামা। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
হাওড়া স্টেশন চত্বরের নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য পুলিশ ব্যারিকেডও করে দিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, নিয়ম মানছেন না যাত্রীদের একাংশই। বিপজ্জনক ভাবে যত্রতত্র বাসে ওঠানামা চলছে।
কলকাতা থেকে হাওড়া ব্রিজ পার হয়ে উত্তর জি আর রোডে ময়দানমুখী বাসগুলি দাঁড়ানোর জন্য রাস্তা থেকে এক ফুট উঁচুতে কংক্রিটের বাঁধানো জায়গা রয়েছে। এখানে দু’টি লেন রয়েছে। একটি লেনে কলকাতা বাসস্ট্যান্ডের বাসগুলি দাঁড়ায়। অন্য লেনটি ময়দান ও সালকিয়াগামী বাসের জন্য। দু’টি লেনের মাঝে রয়েছে লোহার রেলিং। কিন্তু অনেক যাত্রী এখান থেকে বাস না ধরে, রাস্তায় বাস থামিয়ে ওঠানামা করেন।
অনেকে আবার বিপজ্জনক ভাবে রাস্তা পার হয়ে বাস ধরতে যান। স্টেশনের কাছে আসার আগেই বাস থেকে নামতে শুরু করেন যাত্রীরা। পুলিশ এখানে বাস দাঁড়াতে দেয় না। ফলে দ্রুত বাস থাকে নামতে হয়। এ ভাবে নামতে গিয়ে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
একই অবস্থা হয় পশ্চিম জি আর রোড থেকে হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে। বাস থামানোর জন্য যাত্রীরা ছুটতে থাকেন। এখানেও লোহার ব্যারিকেড করা আছে। ময়দান, গোলাবাড়ি, টিকিয়াপাড়া, দাসনগর থেকে আসা বাসগুলির এই ব্যারিকেডের ভিতরে আসার কথা। যাত্রীদেরও ব্যারিকেডের ভিতরে থাকার কথা। কিন্তু অধিকাংশ যাত্রী তা করেন না। ব্রিজের মুখেই হাত দেখিয়ে কোনও রকমে বাসে ওঠেন। পিছনেই প্রচুর বাস ও অন্য গাড়ি থাকে। ফলে কোনও ভাবে পড়ে গেলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।
এক নিত্যযাত্রী সুফল কর্মকার বলেন, “বাসগুলি ব্যারিকেডের ভিতরে আসতে সময় লাগে।
তাই ব্যারিকেডের বাইরে হাত দেখিয়েই উঠি। অনেকেই এমন করেন।” পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে প্রায় সব সময়ই পুলিশ মোতায়েন থাকে। বাসগুলিকে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। কিন্তু রাস্তায় ভিড় থাকলে সমস্যা হয়।
হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার অজেয় রাণাডে বলেন, “আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। আমরা সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাইছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy