এমনই দশা ফুটপাথের। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।
কোথাও সিমেন্ট উঠে বেরিয়ে পড়েছে মাটি, কোথাও বা ইট। কোথাও বেরিয়ে রয়েছে লোহার রড। উঁচু-নিচু এই পথে প্রতি দিন হোঁচট খেতে খেতেই যাতয়াত করেন পথচারীরা। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে এমনই বেহাল অবস্থা মহানায়ক উত্তমকুমার বা টালিগঞ্জ মেট্রোর সামনের ফুটপাথটির। অথচ কলকাতা পুর-কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।
টালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন এই ফুটপাথ দিয়ে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। নিত্যযাত্রী যাদবপুরের শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “টালিগঞ্জের দেশপ্রাণ শাসমল রোডের এক দিকের ফুটপাথ নেই। সাইড রোডটি অটোর জন্য নির্দিষ্ট করা রয়েছে। ফলে সে দিক দিয়ে হাঁটাচলা করা যায় না। একমাত্র মহানায়ক উত্তমকুমার বা টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের সামনের ফুটপাথটি চওড়া। সেটারও এমন অবস্থা যে কোনও মুহূর্তে হোঁচট খেয়ে পড়বেন পথচারী।” স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ফুটপাথের মালিকানা কোন ওয়ার্ডের, তা নিয়েই রয়েছে চাপান-উতোর।
পুরসভা সূত্রের খবর, টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে ধর্মতলার দিকে আসতে গেলে দেশপ্রাণ শাসমল রোডের বাম দিকের ফুটপাথটি ৯৭ ওয়ার্ডের অন্তর্গত। ডান দিকের ফুটপাথ ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে।
অর্থাত্ মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনের সামনের ফুটপাথটি ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। পুরসভা এমনটা দাবি করলেও, ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার জানান, এটি তাঁর ওর্য়াডের আওতায় পড়ে না। ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের হবে। আবার ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরএসপি-র সেতাবুদ্দিন খোন্দকরের পাল্টা দাবি, ওটি তাঁর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েই না। এই চাপান-উতোরের মধ্যে এই ফুটপাথের সারাই কবে হবে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে টানাপড়েন। যদিও পুরসভার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ কিছু এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে তিনি বলেন, “পুরসভার দায়িত্ব ফুটপাথ সারানো। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলরকে তা জানাতে হবে। তবে আমি খোঁজ নিয়ে সারাইয়ের ব্যবস্থা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy