বিয়ের কথা দিয়ে সহবাস, গ্রেফতার

বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগে হেস্টিংস থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হল এক যুবক। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মনোজ নাথ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বছর পঁচিশের ওই তরুণীর অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় মনোজ তাঁকে ভিক্টোরিয়ার কাছে একটি পার্কে বেড়াতে নিয়ে যায় এবং বিয়ে করবে জানিয়ে ঘনিষ্ঠ হয়। সোমবার ওই অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে মনোজকে ধরে পুলিশ। বুধবার আদালতে বিচারক তাকে ১৪ দিন পুলিশি হেফাজত দেন।

পুলিশ জানায়, মনোজ বিবাহিত এবং চার সন্তানের পিতা। এ দিকে, ওই তরুণীর বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা চলছে বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। হেস্টিংসে মনোজের বাড়ির কাছেই ওই তরুণীর বাপের বাড়ি। পুলিশ জানায়, ওই তরুণী সোমবার হেস্টিংস থানায় প্রথমে অভিযোগ করেন, বেড়াতে যাওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে মনোজ ও তার তিন সঙ্গী রবিবার রাতে তাঁকে ধর্ষণ করে। তরুণী এটাও জানান, মনোজ তাঁর পূর্ব পরিচিত। অভিযোগ পেয়ে ধর্ষণের মামলা রুজু করে পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার মনোজকে গ্রেফতারের পরে তদন্তকারীদের মনে হয়, তরুণীর বক্তব্যে অসঙ্গতি রয়েছে। এক জন না একাধিক লোক তাঁকে ধর্ষণ করে, তা নিয়ে ধন্দে পড়ে পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষায়ও প্রাথমিক ভাবে গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলে জানায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে শেষে বুধবার বিকেলে ওই তরুণী স্বীকার করেন, গণধর্ষণ নয়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনোজ তাঁকে ধর্ষণ করে।

গত ডিসেম্বরে খিদিরপুর থেকে এক তরুণীকে ট্যাক্সিতে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে একটি ট্রাকের পিছনে ফেলে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পরে সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, ওই অভিযোগ পুরো সত্যি নয়। হেস্টিংসের ঘটনার সঙ্গে খিদিরপুরের সেই ঘটনার মিল পাচ্ছেন পুলিশের একাংশ। পুলিশ জানায়, এ জে সি বসু রোড ও ডিএল খান রোডের মোড়ে সিসিটিভি-র ফুটেজে রবিবার মনোজ এবং ওই তরুণীকে হাত ধরে রাস্তা পার হতে দেখা গিয়েছে। ভিক্টোরিয়া লাগোয়া ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউয়ের সিসিটিভি-র ছবিতেও ধরা পড়েছে একই দৃশ্য। তার পরেই ওই তরুণী গণধর্ষণের অভিযোগ থেকে সরে আসেন।