Advertisement
E-Paper

মাদক বেচতে গিয়ে ধৃত কঙ্কাল-কাণ্ডে ফেরার ২ অভিযুক্ত

সোনারপুরের রানিয়ায় কঙ্কালকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের সঙ্গে গত দু’মাস যাবৎ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী। কঙ্কালকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জ্ঞানসাগর শর্মা দু’মাস ফেরার থাকাকালীন মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছিল, তাতে তার দোসর ছিল ওই মহিলাও। এমনই দাবি পুলিশের। তদন্তকারীরা জানান, ওই মহিলার নাম সাবিত্রী রায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোনারপুরের ঘাসিয়াড়া থেকে প্রাক্তন ফৌজি, বছর চল্লিশের জ্ঞানসাগরের সঙ্গে ৩৫ বছরের সাবিত্রীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৪ ০২:০৮

সোনারপুরের রানিয়ায় কঙ্কালকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের সঙ্গে গত দু’মাস যাবৎ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী। কঙ্কালকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জ্ঞানসাগর শর্মা দু’মাস ফেরার থাকাকালীন মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছিল, তাতে তার দোসর ছিল ওই মহিলাও। এমনই দাবি পুলিশের। তদন্তকারীরা জানান, ওই মহিলার নাম সাবিত্রী রায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোনারপুরের ঘাসিয়াড়া থেকে প্রাক্তন ফৌজি, বছর চল্লিশের জ্ঞানসাগরের সঙ্গে ৩৫ বছরের সাবিত্রীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দু’জনকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের এক সপ্তাহের পুলিশি হেফাজত দেন।

বুধবার সকালে জ্ঞানসাগরের ফাঁসির দাবিতে রানিয়ার বাসিন্দাদের একাংশ সোনারপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। কয়েক জন থানার ভিতরে গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী ও আইসি অনিল রায়ের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন বলে অভিযোগ। শেষমেশ পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) রূপেশ কুমার জানান, জ্ঞানসাগর ও সাবিত্রীর কাছে প্রায় ২১ কেজি গাঁজা মিলেছে। পুলিশ জানায়, কঙ্কাল-কাণ্ডে সাবিত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় ওই মহিলার জড়িত থাকার কথা জেনেছেন।

গত ৮ জুন রানিয়ার কয়েক জন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, মদন রায় নামে এক যুবককে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে জ্ঞানসাগর। পরের দিন রানিয়ায় জ্ঞানসাগরের বাড়ির পাশে মাটি খুঁড়ে একটি কঙ্কাল পাওয়া যায়। খুনের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই মদনের স্ত্রী সাবিত্রীকে নিয়ে ফেরার হয় জ্ঞানসাগর। আদতে বিহারের বাসিন্দা জ্ঞানসাগরের তিন শাগরেদকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, জমির দালালি নিয়ে বচসার জেরে মদনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। সে কাজে সাবিত্রীও জড়িত। তবে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি যে মদনেরই, সেই ব্যাপারে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মদনকে প্রায় দু’বছর আগে খুন করা হয়। তার পর থেকে জ্ঞানসাগর নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে সাবিত্রীর সঙ্গেই থাকতে শুরু করে।

তদন্তকারীরা জানান, বছর খানেক আগেও জ্ঞানসাগর এক বার বাড়িতে অস্ত্র কারখানা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। পরে সে জামিনে মুক্ত হয়। সেই অস্ত্র কারখানার পাহারাদার হিসেবে কাজ করত সাবিত্রী। সেই সূত্রেই দু’জনের ঘনিষ্ঠতা। পুলিশ জেনেছে, কঙ্কাল-কাণ্ডের পরে সাবিত্রীকে নিয়ে জ্ঞানসাগর প্রথমে বিহারে যায়। সপ্তাহ তিন আগে সাবিত্রীকে নিয়ে কলকাতায় ফেরে। পুলিশ জানায়, মাদক ব্যবসার জন্য কলকাতার আশেপাশে কয়েকটি জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছিল দু’জন। সোনারপুর ও নরেন্দ্রপুর-সহ দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় তারা বেশ কয়েক বার মাদক বিক্রি করেছে।

তদন্তকারীদের বক্তব্য, শেষমেশ ওই মাদক বিক্রি করতে গিয়েই সোনারপুরে ঢুকে সে ধরা পড়ে গেল।

rania main accused arrested
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy